বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r চতুর্থ অধ্যায়। তাহার এক "প্রাচীন বন্ধু তথায় উপনীত ছইল । সে তাছাকে রাজ্যেশ্বর দেখিয়া মছাছর্ষে পরমেশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়া বলিল যে “ ঈশ্বর প্রসাদে তোমার মুখ কুসুম কণ্টক মুক্ত, সৌভাগ্য সম্পদ অনুকুল হইয়াছে। জগতের সকল বিষয়েরই অবস্থার পরিবর্তন ছয় । বৃক্ষ কখন পুপপল্পৰাদি শূন্য, কখন বা মৰকুসুম পল্লবালঙ্ক ভ। পুষ্প কখন লাৰণ্যযুক্ত, কখন শীর্ণ মলিন " - • স্থতম ভূপাল বলিলেন “ প্রিয় ভ্রাতঃ ! আমার জন্য দুঃখ কর, অামার রাজ্য প্রাপ্তি আহলাদের কারণ নছে। সেই সময় তুমি দেখিয়াছ ষে এক খণ্ড ৰুটীর মাত্র চিন্তা ছিল, অদ্য পৃথিবীর ডাৰম। আমাকে আক্রমণ করিয়াছে । * * - সম্পদের অভাবে লোকে হুঃখ করে,কিন্তু সম্পদ বাস্তবিক পদের শৃঙ্খল । যদি তোমার সম্পদ লাভের ইচ্ছা থাকে, বৈরাগ রূপ সম্পদ প্রাপ্ত ছও । ১৭ { এক জন পাদচারী দরবেশ এক দল বণিকের সমভিৰাণহারে আরবের পথে আমার সঙ্গে আসিয়া মিলিত হন, উছার মস্তক ও চরণ অনাবৃত ছিল, সঙ্গে মুজাদি কিছুই ছিল না। তিনি শূন্য পদে চলিণ্ঠে চলিতে মস্থানন্দে বলিতেছিলেন “ আমি উষ্ট রূঢ় নছি, উষ্টও আমার ভার বাছক নছে, আমি কাছারও প্ৰভু নছি, পরন্তু কোন ব্যক্তি আমার প্রভূ লছে। সঞ্চিত, ধন রক্ষার্থে চিন্তিত মছি, ধনভাবেও ভাবিত নছি। ” - এক জন উষ্টারূঢ় বলিলেন “ছে পধিক ! কোথায় যাইতেছ? প্রভাবৰ্ত্তন কর । কষ্টে মায় বাইৰে । * দরবেশ উছার ঐ বাক্যে কৰ্ণপাত মা করিয়৷ উষ্ট্রেষ্ঠ অগ্রে অগ্ৰে চলিয়। যাইতে লাগিলেন। যখন আমরা প্রান্তর পর ইয়া মহাযুদ উদ্যানে পহছিলাম, তখন উক্ত উষ্টারদের মৃত্যু উপস্থিত ছইল। ইছ দেখিয়া সেই দরবেশ তাস্থাকে বলিলেন “ আমি কষ্টে পদব্রজে চলিয়। প্রাণ-ধারণ করলাম, তুমি উষ্ট্রোপরি থাকিয় মত্যুমুখে পক্ষিত হইলে : - এক ব্যক্তি রোগগ্রস্ত মূৰ্ব আত্নীয়ের নিকট বসিয়া সমুদায় রজনী