হিন্দুধৰ্ম্মের সার্বভৌমিকত সম্পূর্ণ অজ্ঞ ) তখন উহা বেদান্তদর্শনের আলোকে আপনিই ব্যাখ্যাত হইয়া যাইবে । তথাপি এ কৰ্ম্মগুলি অবশ্য কৰ্ত্তব্য নহে। বরং মনু খুলিয়া দেখ—উহা প্রত্যেক বৃদ্ধকে চতুর্থাশ্রম গ্রহণ করিতে আদেশ করিতেছে, আর তাহারা উহা গ্রহণ করুক বা না করুক, তাহাদিগকে সমুদয় কৰ্ম্ম অবশ্যই ত্যাগ করিতে হইবে । । সর্বত্রই ইহা পুনঃ পুনঃ বলা হইয়াছে যে, এই সমুদয় কৰ্ম্ম জ্ঞানে সমাপ্ত হয়—“জ্ঞানে পরিসমাপ্যতে ’ ( ১ ) এই সকল কারণে, অন্যান্য দেশের অনেক ভদ্রলোক অপেক্ষ একজন হিন্দুকৃষকও অধিক ধৰ্ম্মজ্ঞানসম্পন্ন। আমার বক্তৃতায় ইউরোপীয় দর্শন ও ধৰ্ম্মের অনেক শব্দ ব্যবহারের জন্য কোন বন্ধু সমালোচনাচ্ছলে অনুযোগ করিয়াছেন। সংস্কৃত শব্দ ব্যবহার করিতে পারিলে আমার পরম আনন্দ হইত। উহা অপেক্ষাকৃত সহজ হইত, কারণ সংস্কৃত ভাষাই ধৰ্ম্মভাব প্রকাশের একমাত্র সম্পূর্ণ উপযোগী। কিন্তু বন্ধুটি ভুলিয়৷ গিয়াছিলেন যে, পাশ্চাত্য নরনারীগণ আমার শ্রোতা ছিলেন, আর যদিও কোন ভারতীয় খ্ৰীশ্চিয়ান মিশনারী বলিয়াছিলেন যে, হিন্দুরা তাহাদের সংস্কৃত গ্রন্থের অর্থ ( ১ ) গীতা, ৪র্থ অ, ৩৩ শ্লোক । ২৭
পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৩৮
অবয়ব