বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুধৰ্ম্মের নবজাগরণ তুল্য জ্ঞান করি । ‘মস্তক্তানাঞ্চ যে ভক্তাস্তে মে ভক্ততম মতা’,’—“আমার ভক্তের যাহারা ভক্ত, তাহারা আমার সর্ববশ্রেষ্ঠ ভক্ত।’ ইহা কি সত্য নহে ? অধ্যাপক প্রথমে স্বৰ্গীয় কেশবচন্দ্র সেনের জীবনে হঠাৎ গুরুতর পরিবর্তন কি শক্তিতে হইল, তাহাই অনুসন্ধান করিতে প্রবৃত্ত হন, তাহার পর হইতে ঐরামকৃষ্ণের জীবন ও উপদেশের প্রতি বিশেষ আকৃষ্ট হন ও উহাদের চর্চা আরম্ভ করেন । আমি বলিলাম, “অধ্যাপক মহাশয়, আজকাল সহস্ৰ সহস্ৰ লোকে রামকৃষ্ণের পূজা করিতেছে।” অধ্যাপক বলিলেন, “এরূপ ব্যক্তিকে লোকে পূজা করিবে না ত কাহাকে পূজা করিবে ?” অধ্যাপক যেন সহৃদয়তার মূৰ্ত্তিবিশেষ। তিনি ষ্টার্ডি সাহেব ও আমাকে তাহার সহিত জলযোগের নিমন্ত্রণ করিলেন এবং আমাদিগকে অক্সফোর্ডের কতকগুলি । কলেজ ও বোডলিয়ান পুস্তকাগার (Bodleian Library ) দেখাইলেন। রেলওয়ে ষ্টেশন পর্য্যন্ত আমাদিগকে পৌছাইয়া দিয়া আসিলেন, আর আমাদিগকে এত যত্ন কেন করিতেছেন জিজ্ঞাসা করিলে বলিলেন, “রামকৃষ্ণ পরমহংসের একজন শিষ্যের সহিত ত আর প্রত্যহ সাক্ষাৎ হয় না।” এ বাস্তবিক আমি নুতন কথা শুনিলাম। মুন্দর উষ্ঠানসমম্বিত সেই মনোরম ایران