ভারতবন্ধু অধ্যাপক ম্যকসমুলার ক্ষুদ্র গৃহ, সপ্ততিবর্ষ বয়ঃক্রম সত্বেও সেই স্থিরপ্রসন্নানন, বালসুলভ মন্থণ ললাট, রজতগুভ কেশ ঋষি-হৃদয়ের কোন নিভৃত অন্তরালে গভীর আধ্যাত্মিকতার খনির অস্তিত্ব সূচক সেই মুখের প্রত্যেক রেখা, তাহার সমুদয় জীবনের সঙ্গিনী সেই উচ্চাশয় সহধৰ্ম্মিণী, ( যে জীবন প্রাচীন ভারতের ঋষিগণের চিন্তারাশির প্রতি সহানুভূতি আকর্ষণ, উহার প্রতি লোকের বিরোধ ও ঘৃণা অপনয়ন এবং অবশেষে শ্রদ্ধা উৎপাদনরূপ দীর্ঘকালব্যাপী কঠোর কার্য্যে ব্যাপৃত ছিল) তাহার সেই উদ্যানের তরুরাজি, পুষ্পনিচয়, তথাকার নিস্তব্ধ ভাব ও নিৰ্ম্মল আকাশ এই সমুদয় মিলিয়া কল্পনায় আমায় প্রাচীন ভারতের সেই গৌরবের যুগে লইয়া গেল ; যখন ভারতে ব্রহ্মর্ষি ও রাজর্ষিগণের, উচ্চাশয় বানপ্রস্থিগণের, অরুন্ধতী ও বশিষ্ঠগণের নিবাস ছিল। আমি তাহাকে ভাষাতত্ত্ববিৎ বা পণ্ডিতরূপে দেখিলাম না, দেখিলাম যেন কোন আত্মা দিন দিন ব্রহ্মের সহিত আপন একত্ব অনুভব করিতেছেন, যেন কোন হৃদয় অনন্তের সহিত এক হইবার জন্য প্রতি মুহূৰ্ত্তে প্রসারিত হইতেছে। যেখানে অপরে শুষ্ক অপ্রয়োজনীয় তত্ত্বসমূহের বিচাররূপ মরুতে দিশাহারা হইয়াছে, সেখানে তিনি এক অমৃত কূপ খনন করিয়াছেন। তাহার - \ున
পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৮০
অবয়ব