হিন্দুধৰ্ম্মের নবজাগরণ হৃদয়ধ্বনি যেন উপনিষদের সেই সুরে সেই তালে ধ্বনিত হইতেছে, “তমেবৈকং জানথ আত্মানম্ অন্যা বাচে বিমুঞ্চথ,”—“সেই এক আত্মাকে জান, অন্য বাক্য ত্যাগ কর ।” - যদিও তিনি একজন ব্রহ্মাণ্ড আলোড়নকারী পণ্ডিত ও দার্শনিক, তথাপি তাহার পাণ্ডিত্য ও দর্শন র্তাহাকে ক্রমশঃ উচ্চ হইতে উচ্চে লইয়া গিয়া আত্মসাক্ষাৎকারে সমর্থ করিয়াছে, তাহার অপর বিদ্যা বাস্তবিকই তাহাকে পরাবিদ্যা লাভে সহায়তা করিয়াছেন । ইহাই প্রকৃত বিদ্যা । বিদ্যা দদাতি বিনয়ং । জ্ঞান যদি আমাদিগকে সেই পরাৎপরের নিকট না লইয়া যায়, তবে জ্ঞানের আবশ্যকতা কি ? আর ভারতের উপর তাহার কি অনুরাগ ! যদি আমার তাহার শতাংশের একাংশও থাকিত, তাহ হইলে আমি ধন্য হইতাম । এই অসাধারণ মনস্বী পঞ্চাশ বা ততোধিক বৎসর ধরিয়া ভারতীয় চিন্তারাজ্যে বসবাস ও বিচরণ করিয়াছেন ; পরম আগ্রহ ও হৃদয়ের ভালবাসার সহিত সংস্কৃত সাহিত্যরূপ অনন্ত অরণ্যের আলো ও ছায়ার বিনিময় পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়াছেন, শেষে ঐ সমুদয় তাহার হৃদয়ে বসিয়া গিয়াছে এবং তাহার সর্ববাঙ্গে উহার রঙ ধরাইয়া দিয়াছে। ૧૦
পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৮১
অবয়ব