হেমোপাখঞ্জন | It অনন্তর সন্ধ্যার পূর্বেই নবকানন ঘোরন্ধকীরে অগ্রভ । হইতে লাগিল তখন শূরসেন অতি শীঘ্র অশ্বটীকে লতাপাশে বন্ধন করিয়া ভ্যস্ত সমস্ত হইয়া একটী শালতৰুভে আরোহণ করিলেন এবং সাবধান পূর্বক অধোদৃষ্টে রহিলেন । কিঞ্চিৎপরে ভূষৎনাগ সরোবর হইতে শৈল শৃঙ্গের ন্যায় উত্থিত হইয়া মহাদন্তে ঘোরতর গর্জন করিতে অরস্তু করিল । তাহার নিশ্বাস প্রশ্বাস প্রলয়ের মরুতের ন্যায় অতি প্রচণ্ডবেগে বহিতে লাগিল তদ্বারা ক্ষুদ্র জন্তু সকল স্থানভ্রষ্ট হুইয়া গেল, বৃক্ষ সকল কম্পিত হইতে লাগিল । তৎপরে দুেই ভুজঙ্গম জিঘৎস্থ হইয়া ক্ষণে ক্ষণে মুখবাদন করতঃ কানমমধ্যে বিচরণ করিতে লাগিল ক্ষণ কাল পরে শূরসেনের অশ্বটীকে দৃষ্টিগোচর হইল তৎক্ষণাৎ তাহরে পশ্চাৎ পদ তুণ্ড দ্বারা ধারণ করিয়া তাহকে ক্রমশঃ উদরযু করিল। সেই সপোর শিররত্বের জ্যোতিতে সমুদয় বিষয় বিলক্ষণ রূপে দেখা যাইতে ছিল সুতরাং নিজ অশ্বকে বিনষ্ট হইতে দেখিয়া ক্রোধাবিষ্ট হুইয়া শরাসনে অৰ্দ্ধচন্দ্র বাণ সংস্থাপন করতঃ আকৰ্ণ সন্ধান করিয়া বলিষ্ঠ নাথের প্রতি নিক্ষেপ করিলেন। সেই গুরুতর শরাঘাতে তৎক্ষণাৎ ভুজঙ্গের প্রাণ বিনাশ হইল। তাছার পর শূরসেন সেই কাননারাতি মহাভুজঙ্গমকে নিহত করিয়ী পরম পুলকিত চিত্তে বৃক্ষ হইতে ভূতলে অবতীর্ণ হইলেন এবং সপৰ্মাণ সংগ্ৰছ পূৰ্ব্বক ভাভি শীঘ্র সেই সরোররের স্ট্রীরে উপস্থিত হইলে য়ছম পাতাল বন্ধুতাহার নেত্ৰ গোচর হইল । সেই অপুৰ্ব্ব বক্স দর্শনে তিনি
