ভাগবত—গদাধর দাস–১৭শ শতাব্দী। তড়িৎ-নিন্দিত পীত রবি-বক্ষ সুশোভিত চির-শোভা সঘন চপলা। প্রফুল্লিত সরসিজ মুখ-শোভা কিবা তেজ ভালে সিত সিন্ধু-যশঃ-কলা॥ দীক্ষায়ণী-বংশ-ধ্বংস সজ্জন-অবতংশ গুঞ্জ মুক্ত তবক রচিত। সুচাচর কেশ-ভাতি মল্লিকা মালতী যুথী ভুঞ্জে চক্ষু বিকচ তড়িত। উৰ্দ্ধরেখা আদি চিহ্ন শ্রেষ্ঠ সব সুলক্ষণ ভক্তজনে জাতি প্রাণ ধন। শ্রীবৃন্দাবন ধাম ত্রিজগতে অনুপম চিন্তামণি সুখদ সুন্দর। তথি মধ্যে কল্পতরু শ্রীমুনি-মণ্ডন চারু বিরাজেন নন্দকুমার। দামোদর পুত্র তার সদা ভজে হরি॥ দুবরাজা সুবরাজ তাহার নন্দন। দুবরাজ পুত্র হৈল মিলএ যতন॥ তাহার নন্দন হয় নাম ধনঞ্জয়। তাহাতে জন্মিল শুন এ তিন তনয়। রঘুপতি ধনপতি দেব নরপতি। রঘুপতির পঞ্চপুত্র প্রতিষ্ঠিত মতি। প্রসন্ন রঘু দেবেশ্বর কেশব সুন্দর। চতুর্থে ত্ররঘুদেব পঞ্চমে শ্রীধর॥ প্রিয়ঙ্কর হৈতে এ পঞ্চ উদ্ভব। অনু সুধাকর মধুরাম যে রাঘব। সুধাকর নন্দন যে এ তিন প্রকার। ভূমেন্দু কমলাকান্ত এ তিন কুমার॥ প্রথমে শ্রীকৃষ্ণদাস শ্রীকৃষ্ণ-কিঙ্কর। রচিলা কৃষ্ণের গুণ অতি মনোহর॥ দ্বিতীয় শ্রীকাশীদাস ভক্তি ভগবানে। রচিলা পাচলির ছন্দ ভারত-পুরাণে॥ জগত-মঙ্গল কথা করিলা প্রকাশ। তৃতীয় কনিষ্ঠ দীন গদাধর দাস ৷ স্কন্দ-পুরাণের যত শুনিয়া বিচিত্র। কত ব্রহ্ম-পুরাণের প্রভুর চরিত্র। না বুঝয় পুরাণেতে ইত্যাদি লোকেতে। তে কারণে রচিলাম পাচলির মতে। ইহা শুনি কৃতার্থ হইব সর্ব্বজন। ইহলোকে সুখ অন্তে গতি নারায়ণ॥ সপ্তষষ্টি শকাব্দ সহ পঞ্চ শতে। সহস্ৰ পঞ্চাশ সন দেখ লেখা মতে॥ নরসিংহ নামে দেখ উৎকলের পতি। পরম বৈষ্ণব জগন্নাথ ভজে নিতি॥ জগন্নাথ-সেবা বিনে নাহি জানে আন। রাজ্য হরি রাজ্য প্রাণ ধন॥ অনেক করিল কার্য্য প্রভু জগন্নাথ। দুষ্টজন দলন দুঃখিত জন তাত॥ পুত্রসম পালে প্রজা রাজ্য প্রজাগণ। জিনিঞ চম্পক-পুষ্প b’s ○