*న8 বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। ত্রিভঙ্গ ললিত শু্যাম কেশব রসের ধাম মিথ্যা ব্যর্থ কি দিব উপাম। যত বিদগধ-ধ্বজে বিরাজে ব্রহ্মাও মাঝে লাজে পালাইল সব কাম॥ গোপ-গোপিকা সঙ্গ নানাবিধ ক্রীড়ারঙ্গ সমাপিত নিকুঞ্জ পুলিন। নানারূপে বিহঙ্গম শুাম-মন-মনোরম তরু দ্রুম তমাল নবীন॥ বিকশিত কোকনদ কৃষ্ণকুঞ্জে সুখপ্রদ অলিগণ গুঞ্জে কুঞ্জে পুঞ্জ। বিকচ কমল পরে মন্দবায়ু ক্রীড়া করে বৃন্দাবন অনিন্দ্য নিকুঞ্জ॥ অবতার সে মুনি ধ্যায় ভব পদ্মযোনি উদ্ধারিল জঙ্গম স্থাবর। অশেষ দুঃখের হর্ত্তা অক্ষয় নিশ্চয় দাতা না বুঝে অবোধ গদাধর। অঙ্গের বরণ॥ রাজচক্রবর্তী সেই উৎকলের পতি। ধর্ম্ম-স্তায় তোষণ করিল বসুমতী ৷ মহালয় তাপি হয় বেরিজ সহর। উৎকল উত্তম শুনি নিকট নগর। মাখনপুরেতে গ্রাম তাহার ভিতর। বিশ্বেশ্বরের বাটী চিহ্নিত সেই স্থানবর। দুর্গাদাস চক্রবর্ত্ত পড়িল পুরাণে। শুনিয়া পুরাণ বড় ইৎসা হৈল মনে॥ পাচলির মত রচি শ্রীকৃষ্ণ-কীর্ত্তন। নাহি সন্ধি জ্ঞান মোর না পড়ি ব্যাকরণ। আমি অতি মুঢ়মতি করিমু রচন। ভাগবত-গ্রন্থ করে শ্রীহরি-কীর্ত্তন ৷ পণ্ডিত যে জন দোষ ইহার না লবে। যদি বা অশুদ্ধ হরি-প্রসঙ্গ জানিবে॥ শ্রীরাধাকৃষ্ণ-পাদ-পদ্ম যে করে আশ্রয়। ভব আদি পাদ-পদ্ম মাগয় অভয় ৷ দীন হীন চাহি আমি সে পদ-শরণ। চন্দ্র পরশিতে যেন মণ্ডকের মন। সভে মাত্র ভরসা আছএ এক আর পতিত-পাবন দীনবন্ধু নাম যার। সেই নাম বিনে নাই আমার নিস্তার। গদাধর করিয়াছে ভরসা যাহার। তার মনোরম্য অর্থ কষ্টেতে বিস্তার। জগত-মঙ্গল কহে দাস গদাধর।