মহাভারত—কবীন্দ্র পরমেশ্বর—রচনা-কাল ১৪৯৫-১৫০০ খৃঃ। 3) సి হাসে তবে ভীষ্ম বীর করে উপহাস। অৰ্জ্জুনক দেখি কিছু আর মত আশ। তবে কৃষ্ণে দেখিয়া যে ভীষ্মের বিক্রম। শিথিল হইল বীর নহে ভীষ্ম সম। সমরে দুর্জয় ভীষ্ম বরিষন্ত শর। পাণ্ডবের সর্ব সৈন্ত করিল জর্জর॥ লক্ষ লক্ষ বীর শর বাছি বাছি মারে। যুগাস্তের যম যেন সকল সংহারে। অনেক চিন্তিয়া বাসুদেব মহাবল। আয়ুধে সংশয় দেখি পাণ্ডব সকল॥ পাণ্ডবের মুখ্য মুখ্য ভীষ্মে সংহরিল। অৰ্জ্জুনের ভার আয়ু রাখিতে নারিল॥ অনেক চিন্তিয়া কৃষ্ণ ত্রিভুবন-নাথ। মহাকোপে করে রণে ভীষ্মে সহসাত (১)॥ নাহি দিগ্বিদিগ যে স্থর্য্যের প্রকাশ। না দেখি যে রথিগণ না দেখি আকাশ॥ ধূম্রময় দেখি যে যে অন্ধকার। করয়ে তুমুল যুদ্ধ পবন সঞ্চার। শত শত মহাযোধে বেঢ়ে ধনঞ্জয়। রথে থাকি দেখিলেক সৈন্ত মহাশয়॥ সেজে মহাবীর্য্যবন্ত আইল ততক্ষণ। মহাবীর অর্জুনের সাহায্য কারণ॥ তবে কৃষ্ণ সৈন্তক যে প্রশংসা করান্ত। আজ ভীষ্ম বীরের করিমু মুই অন্ত॥ (২) ধৃতরাষ্ট্রের পুত্র সব করিমু সংহার। শ্রীকৃষ্ণের ক্রোধ। যুধিষ্ঠির রাজাক যে দিমু রাজ্যভার॥ এ বলিয়া চলিলেক দেব নারায়ণ। হাতে চক্র লৈয়া যাএ প্রসন্ন বদন॥ (১) সহসা =অকস্মাৎ ৷ (২) কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং অস্ত্র ধারণ করবেন না, এই প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন, ভীষ্মের বিক্রমে সেই প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হইল।