মহাভারত (রাজশেখর বসু)/উদ্‌যোগপর্ব/সৈন্যনির্যাণপর্বাধ্যায়

উইকিসংকলন থেকে

॥ সৈন্যনির্যাণপবাধ্যায়॥

২২। পাণ্ডবযুদ্ধসজ্জা

 যুধিষ্ঠির তাঁর ভ্রাতাদের বললেন, তোমরা কেশবের কথা শুনলে, এখন সেনা বিভাগ কর। সাত অক্ষৌহিণী এখানে সমবেত হয়েছে, তাদের নায়ক—দ্রুপদ, বিরাট, ধৃষ্টদ্যুম্ন, শিখণ্ডী, সাত্যকি, চেকিতান ও ভীমসেন। এরা সকলেই যুদ্ধবিশারদ বীর এবং প্রাণ দিতে প্রস্তুত। সহদেব, তোমার মতে যিনি এই সাত জনের নেতা হবার যোগ্য, যিনি সেনাবিভাগ করতে জানেন এবং যুদ্ধে ভীষ্মের প্রতাপ সইতে পারবেন, তাঁর নাম বল।

 সহদেব বললেন, মৎস্যরাজ বিরাটই এই কার্যের যোগ্য। ইনি আমাদের সুখে সুখী দুঃখে দুঃখী, বলবান ও অস্ত্রবিশারদ, এঁর সাহায্যেই আমরা রাজ্য উদ্ধার করব। নকুল বললেন, আমাদের শ্বশুর দ্রুপদই সেনানায়ক হবার যোগ্য, ইনি বয়সে ও কুলমর্যাদায় শ্রেষ্ঠ, ভরদ্বাজের কাছে অস্ত্রশিক্ষা করেছিলেন এবং সর্বদা দ্রোণ ও ভীষ্মের সহিত স্পর্ধা করেন। দ্রোণের বিনাশকামনায় ইনি ভার্যার সহিত ঘোর তপস্যা করেছিলেন[১]। অর্জুন বললেন, যে দিব্য পুরুষ তপস্যার প্রভাবে এবং ঋষিগণের অনুগ্রহে উৎপন্ন হয়েছিলেন, যিনি ধন, খড়্গ ও কবচ ধারণ ক’রে রথারোহণে অগ্নিকুণ্ড থেকে উঠেছিলেন, সেই ধৃষ্টদ্যুম্ন[১]ই সেনাপতিত্বের যোগ্য। ভীম বললেন, সিদ্ধগণ ও মহর্ষিগণ বলেন যে, দ্রুপদপুত্র শিখণ্ডীই ভীষ্মবধের নিমিত্ত জন্মেছেন, ইনি রামের ন্যায় রূপবান, এমন কেউ নেই যে এঁকে অস্ত্রাহত করতে পারে। এঁকেই সেনাপতি করুন।

 যুধিষ্ঠির বললেন, কৃষ্ণই আমাদের জয়পরাজয়ের মূল, আমাদের জীবন রাজ্য সুখদুঃখ সবই এঁর অধীন, ইনিই বলুন কে আমাদের সেনাপতি হবেন। এখন রাত্রি আসন্ন, কাল প্রভাতে আমরা অধিবাস[২] ও কৌতুকমঙ্গল[৩] ক’রে যদ্ধযাত্রা করব।

 অর্জুনের দিকে চেয়ে কৃষ্ণ বললেন, মহারাজ, যাঁদের নাম করা হ’ল তাঁরা সকলেই নেতৃত্ব করবার যোগ্য। আপনি এখন যথাবিধি সৈন্যযোজনা করুন, আপনার পক্ষে যে বীরগণ আছেন তাঁদের সম্মুখে দুর্যোধনাদি কখনও দাঁড়াতে পারবেন না। আমি ধৃষ্টদ্যুম্নকেই সেনাপতি মনোনীত করছি। কৃষ্ণের কথায় পাণ্ডবগণ আনন্দিত হলেন!

 যুদ্ধসজ্জা আরম্ভ হ’ল, সৈন্যগণ চঞ্চল হয়ে কোলাহল করতে লাগল, হস্তী ও অশ্বের রব, রথচক্রের ঘর্ঘর ও শঙ্খদুন্দুভির নিনাদে সর্ব দিক ব্যাপ্ত হ’ল। সেই বিশাল সৈন্যসমাগম মহাতরঙ্গময় সমুদ্রের ন্যায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠল। বর্মে ও অস্ত্রে সজ্জিত যোদ্ধারা আনন্দিত হয়ে চলতে লাগলেন, যুধিষ্ঠির তাঁদের মধ্যভাগে রইলেন, দুর্বল সৈন্য ও পরিচারকগণও তাঁর সঙ্গে চলল। শকট, বিপণি, বেশ্যাদের বস্ত্রগৃহ, কোষ, যন্ত্রায়ুধ ও চিকিৎসকগণ সঙ্গে সঙ্গে গেল। দ্রৌপদী তাঁর দাসদাসী ও অন্যান্য স্ত্রীদের নিয়ে উপপ্লব্য নগরেই রইলেন।

 পাণ্ডববাহিনী কুরুক্ষেত্রে উপস্থিত হ’ল। যুধিষ্ঠির শ্মশান, দেবালয়, মহর্ষিদের আশ্রম ও তীর্থস্থান পরিহার করলেন এবং যেখানে প্রচুর ঘাস ও কাঠ পাওয়া যায় এমন এক সমতল স্নিগ্ধ স্থানে সেনা সন্নিবেশ করলেন। পবিত্র হিরন্বতী নদীর নিকটে পরিখা খনন করিয়ে কৃষ্ণ সেখানে রাজাদের শিবির স্থাপন করলেন। শত শত বেতনভোগী শিল্পী এবং চিকিৎসার উপকরণ সহ বৈদ্যগণ শিবিরে রইলেন। প্রতি শিবিরে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র, মধু, ঘৃত, সর্জরস (ধুনা), জল, ঘাস, তুষ ও অঙ্গার রাখা হ’ল।


 কৌরবসভায় যে কথাবার্তা হয়েছিল তার সম্বন্ধে যুধিষ্ঠির আরও জানতে চাইলে কৃষ্ণ বললেন, মহারাজ, দুর্বদ্ধি দুর্যোধন আপনার প্রস্তাব এবং ভীষ্ম বিদুর ও আমার কথা সমস্তই অগ্রাহ্য করেছে, কর্ণের ভরসায় সে মনে করে তার জয়লাভ হবেই। সে আমাকে বন্দী করবার আদেশ দিয়েছিল, কিন্তু তার ইচ্ছা পূর্ণ হয় নি। ভীষ্ম-দ্রোণও ন্যায়সংগত কথা বলেন নি, বিদুর ছাড়া সকলেই দুর্যোধনের অনুবর্তী।

 যুধিষ্ঠির দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ ক’রে বললেন, যে অনর্ধ নিবারণের জন্য আমি বনবাস স্বীকার ক’রে বহু দঃখ পেয়েছি, সেই মহা অনর্থই উপস্থিত হ’ল। যাঁরা অবধ্য তাঁদের সঙ্গে কি ক’রে যুদ্ধ করব? গুরুজন ও বৃদ্ধদের হত্যা ক’রে আমাদের কিরূপে বিজয়লাভ হবে? অর্জুন বললেন, মহারাজ, কৃষ্ণ কুন্তী ও বিদুর কখনও অধর্ম করতে বলবেন না; যুদ্ধ না করে ফিরে যাওয়া আপনার অকর্তব্য। ঈষৎ হাস্য ক’রে কৃষ্ণ বললেন, ঠিক কথা।

 দ্রুপদ বিরাট সাত্যকি ধৃষ্টদ্যুম্ন ধৃষ্টকেতু শিখণ্ডী ও মগধরাজ সহদেব—এই সাত জনকে যুধিষ্ঠির যথাবিধি অভিষিক্ত ক’রে সেনাপতির পদ দিলেন। তার পর তিনি ধৃষ্টদ্যুম্নকে সর্বসেনাপতি, অর্জুনকে সেনাপতিপতি, এবং কৃষ্ণকে অর্জুনের নিয়ন্তা ও অশ্বচালক নিযুক্ত করলেন।

২৩। বলরাম ও রুক্মী

 কুরুপাণ্ডবের ঘোর অনিষ্টকর যুদ্ধ আসন্ন হয়েছে এই সংবাদ পেয়ে অক্রূর উদ্ধব শাম্ব প্রদ্যুম্ন প্রভৃতির সঙ্গে হলায়ুধ বলরাম যুধিষ্ঠিরের ভবনে এলেন। তিনি কৈলাসশিখরের ন্যায় শুভ্রকান্তি, সিংহসখেলগতি[৪], তাঁর চক্ষু মদ্যপানে আরক্ত, পরিধান নীল কৌষেয় বসন। তাঁকে দেখে সকলে সসম্মানে উঠে দাঁড়ালেন এবং যুধিষ্ঠির তাঁর কর গ্রহণ করলেন। অভিবাদনের পর সকলে উপবিষ্ট হ’লে বলরাম কৃষ্ণের দিকে চেয়ে বললেন, দৈববশে এই যে দারুণ লোকক্ষয়কর যুদ্ধ আসন্ন হয়েছে তার নিবারণ করা অসাধ্য। আমি এই কামনা করি যে আপনারা সকলে নীরোগে অক্ষতদেহে এই যুদ্ধ থেকে উত্তীর্ণ হবেন। মহারাজ যুধিষ্ঠির, আমি কৃষ্ণকে বহু বার বলেছি যে আমাদের কাছে পাণ্ডবরা যেমন দুর্যোধনও তেমন, অতএব তুমি দুর্যোধনকেও সাহায্য ক’রো। কিন্তু কৃষ্ণ আমার কথা শোনেন নি, অর্জুনের প্রতি স্নেহের বশে আপনার পক্ষেই সর্ব শক্তি নিয়োগ করেছেন, একারণে আপনারা অবশ্যই জয়লাভ করবেন। আমি কৃষ্ণকে ছেড়ে অন্য পক্ষে যেতে পারি না, অতএব কৃষ্ণের অভীষ্ট কার্যই করব। গদাযুদ্ধবিশারদ ভীম ও দুর্যোধন আমার শিষ্য, দুজনের উপরেই আমার সমান স্নেহ। কৌরবদের বিনাশ আমি দেখতে পারব না, সেজন্য সরস্বতী তীর্থে ভ্রমণ করতে যাচ্ছি।

 বলরাম চ’লে গেলে ভোজ ও দাক্ষিণাত্য দেশের অধিপতি ভীষ্মকের পুত্র রুক্মী এক অক্ষৌহিণী সেনা নিয়ে উপস্থিত হলেন। ইনি কিন্নরশ্রেষ্ঠ দ্রুমের কাছে ধনুর্বেদ শিখে বিজয় নামক ঐন্দ্রধনু লাভ করেছিলেন। এই ধনু অর্জুনের গাণ্ডীব ও কৃষ্ণের শার্ঙ্গ ধনুর তুল্য। কৃষ্ণ যখন রুক্মিণীহরণ করেন তখন তাঁর সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে রুক্মী পরাজিত হন।

 যুধিষ্ঠির সসম্মানে রুক্মীর সংবর্ধনা করলেন। বিশ্রামের পর রুক্মী বললেন, অর্জুন, যদি ভয় পেয়ে থাক তবে এই যুদ্ধে আমি তোমার সহায় হব। আমার তুল্য বিক্রম কারও নেই, শত্রুসেনার যে অংশের সঙ্গে আমাকে যুদ্ধ করতে দেবে সেই অংশই আমি বিনষ্ট করব, দ্রোণ কৃপ ভীষ্ম কর্ণকেও আমি বধ করব। অথবা এই রাজারা সকলেই যুদ্ধে বিরত থাকুন, আমিই শত্রুসংহার ক’রে তোমাদের রাজ্য উদ্ধার করে দেব।

 অর্জুন রুক্মীকে সহাস্যে বললেন, কুরুকুলে আমার জন্ম, আমি পাণ্ডুর পুত্র, দ্রোণের শিষ্য, বাসুদেব আমার সহায়, আমি গাণ্ডীবধারী, কি ক’রে বলব যে ভয় পেয়েছি? আমি যখন ঘোষযাত্রায় মহাবল গন্ধর্বদের সঙ্গে, নিবাতকবচ ও কালকেয় দানবদের সঙ্গে, এবং বিরাটরাজ্যে বহু কৌরবের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলাম তখন কে আমার সহায় ছিল? আমি রুদ্র ইন্দ্র কুবের যম বরুণ অগ্নি কৃপ দ্রোণ ও মাধবের অনুগৃহীত; আমার তেজোময় দিব্য গাণ্ডীব ধনু, অক্ষয় তূণ ও বিবিধ দিব্যাস্ত্র আছে, ভয় পেয়েছি এই যশোনাশক বাক্য কি ক’রে বলব? মহাবাহু, আমি ভীত হই নি, আমার সহায়েরও প্রয়োজন নেই, তোমার ইচ্ছা হয় এখানে থাক, না হয় ফিরে যাও।

 রুক্মী তাঁর সাগরতুল্য বিশাল সেনা নিয়ে দুর্যোধনের কাছে গেলেন এবং অর্জুনকে যেমন বলেছিলেন সেইরূপই বললেন। বীরাভিমানী দুর্যোধনও তাঁকে প্রত্যাখ্যান করলেন। এইরূপে রোহিণীনন্দন বলরাম এবং ভীষ্মকপুত্র রুক্মী কুরুপাণ্ডবের যুদ্ধ থেকে দূরে রইলেন।

২৪। কৌরবযুদ্ধসজ্জা

 কৃষ্ণ হস্তিনাপুর থেকে চ’লে গেলে দুর্যোধন কর্ণ প্রভৃতিকে বললেন, বাসুদেব অকৃতকার্য হয়ে ফিরে গেছেন, তিনি নিশ্চয় ক্রুদ্ধ হয়ে পাণ্ডবগণকে যুদ্ধে উত্তেজিত করবেন। তিনি যুদ্ধই চান, ভীমার্জুনও তাঁর মতে চলেন। দ্রুপদ আর বিরাটের সঙ্গেও আমি শত্রুতা করেছি, তাঁরাও কৃষ্ণের অনুবর্তী হবেন। অতএব কুরুপাণ্ডবের মধ্যে তুমল লোমহর্ষণ যুদ্ধে অবশ্যম্ভাবী। তোমরা অতন্দ্রিত হয়ে যুদ্ধের সমস্ত আয়োজন কর। কুরুক্ষেত্রে বহু সহস্র শিবির স্থাপন করাও, সর্বদিকে যেন প্রচুর অবকাশ রাখা হয়। শিবিরমধ্যে জল কাষ্ঠ ও বিবিধ অস্ত্র এবং উপরে পতাকা থাকবে। খাদ্যাদি আনয়নের পথ যেন শত্রুরা রোধ করতে না পারে।

 দুর্যোধনের আদেশে কুরুক্ষেত্রে সেনানিবেশ স্থাপিত হ’ল। সমাগত রাজারা উষ্ণীষ অন্তরীয় উত্তরীয় ও ভূষণ প্রভৃতিতে সজ্জিত হলেন। রথী অশ্বারোহী গজারোহী ও পদাতি সৈন্যগণ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হ’ল। রাত্রি প্রভাত হ’লে দুর্যোধন একাদশ অক্ষৌহিণী সেনা বিভক্ত করলেন। প্রত্যেক রথে চার অশ্ব যোজিত হ’ল এবং দুই অশ্বরক্ষক ও দুই পৃষ্ঠরক্ষক নিযুক্ত হ’ল। প্রত্যেক হস্তীতে দুই অঙ্কুশধারী, দুই ধনুর্ধারী এবং একজন শক্তি- ও পতাকা-ধারী রইল।

 দুর্যোধন কৃতাঞ্জলি হয়ে ভীষ্মকে বললেন, সেনাপতি না থাকলে বিশাল সেনাও পিপীলিকাপুঞ্জের ন্যায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শুনেছি একদা ব্রাহ্মণ বৈশ্য ও শূদ্র এই তিন বর্ণের লোক হৈহয় ক্ষত্রিয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করতে যায়, কিন্তু তারা বার বার পরাজিত হয়। তার পর ব্রাহ্মণরা ক্ষত্রিয়দের জিজ্ঞাসা করলেন, আমাদের পরাজয়ের কারণ কি? ধর্মজ্ঞ ক্ষত্রিয়গণ যথার্থ উত্তর দিলেন—আমরা সকলে একজন মহাবুদ্ধিমানের মতে চলি, আর আপনারা প্রত্যেকে নিজের বুদ্ধিতে পৃথক পৃথক চলেন। তখন ব্রাহ্মণরা একজন যুদ্ধনিপুণ ব্রাহ্মণকে সেনাপতি করলেন এবং ক্ষত্রিয়দের সঙ্গে যুদ্ধে জয়ী হলেন।

 তার পর দুর্যোধন বললেন, পিতামহ, আপনি শুক্রাচার্য তুল্য যদ্ধনিপুণ, ধর্মে নিরত এবং আমার হিতৈষী, আপনিই আমাদের সেনাপতি হ’ন। গোবৎস যেমন ঋষভের অনুগমন করে আমরা সেইরূপ আপনার অনুগমন করব। ভীষ্ম বললেন, মহাবাহু, আমার কাছে তোমরা যেমন পাণ্ডবরাও তেমন, তথাপি প্রতিজ্ঞা অনুসারে তোমার জন্যই যুদ্ধ করব। অর্জুন ভিন্ন আমার সমান যোদ্ধা কেউ নেই, তাঁর অনেক দিব্যাস্ত্রও আছে; কিন্তু তিনি আমার সঙ্গে প্রকাশ্যে যুদ্ধ করবেন না। পাণ্ডুপুত্রদের বিনষ্ট করা আমারও অকর্তব্য। যত দিন তাঁদের হাতে আমি না মরি তত দিন আমি প্রত্যহ পাণ্ডবপক্ষের দশ সহস্র যোদ্ধাকে বধ করব। কিন্তু কর্ণ সর্বদাই আমার সঙ্গে স্পর্ধা করেন, অতএব সেনাপতি আমি না হয়ে তিনিই হ’তে পারেন। কর্ণ বললেন, ভীষ্ম জীবিত থাকতে আমি যুদ্ধ করব না, এঁর মৃত্যুর পর আমি অর্জুনের সঙ্গে যুদ্ধ করব।

 দুর্যোধন রাশি রাশি উপহার দিয়ে ভীষ্মকে সেনাপতির পদে যথাবিধি অভিষিক্ত করলেন, শত সহস্র ভেরী ও শঙ্খ বেজে উঠল। এই সময়ে নানাপ্রকার অশুভ লক্ষণ দেখা গেল, বজ্রধ্বনি ভূমিকম্প উল্কাপাত ও রুধিরকর্দমবৃষ্টি হ’ল। যোদ্ধারা নিরুদ্যম হয়ে পড়লেন। তার পর ভীষ্মকে অগ্রবর্তী ক’রে প্রচুর স্কন্ধাবার সহ দুর্যোধন প্রভৃতি কুরুক্ষেত্রে উপস্থিত হলেন।

  1. ১.০ ১.১ আদিপর্ব ২৯-পরিচ্ছেদ দ্রষ্টব্য।
  2. অস্ত্রপূজা বা নীরাজন।
  3. রক্ষাসূত্র বা রাখি-বন্ধন।
  4. ক্রীড়ারত সিংহের ন্যায় যাঁর গতি।