পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৃহশ্ৰী S o o ক্ষেত্রে ৭৮ হাত অন্তর মাদা করিয়া প্ৰত্যেক মাদায় ২।৩টি করিয়া বীজ বপন কবিবে। চারা গাছে প্রতিদিন প্ৰাতে অথবা সন্ধ্যার সময় জল দিতে হয় । বর্ষা আরম্ভ হইলে আর জল দিবার দরকার নাই । বর্ষাতি কুমড়ার জন্য মাচা দরকার। নতুবা অন্য জাতীয় ফসলের জন্য মাচা দরকার হয় না, মাটীর উপরে গাছে ফল ধরে। কুমড়ার সকল ফুলে ফল ধরে না, এ কথা সকলেই জানে। ‘রাড়া” ফুলগুলি গৃহস্থ ভাজিয়া খাইয়া থাকে । কুমড়া পাকিয়া পুষ্ট হইলেই তাহাকে আর গাছে রাখা উচিত নহে, তখন গৃহে আনিয়া দড়ির শিকায় ঝুলাইয়া রাখিলে অনেক দিন পৰ্য্যন্ত ঠিক থাকে। বর্ষার সময় কুমড়া গৃহস্থের প্রধান তরকারী । লাভ : —লাউ সাধারণতঃ দুই জাতীয়-এক জাতি চৈত্র বৈশাখে। জন্মে এবং অন্য প্রকার শীতের সময় অগ্রহায়ণ পোষ মাসে জন্মে। শতেক লাউ খাইতে সুস্বাদু। লাউয়ের বীজ মাদায় বপন করিবে। বীজ বপন করিবার পূর্বে এক রাত্রি জলে ভিজাইয়া রাখিলে শীঘ্ৰ অস্কুরিত হয়। মাদার মাটা খুব গভীর করিঘা খুজিয়া তাহার সহিত গোবর-সার মিশাইয়া দিবে। লাউ এর মাচা করিয়া দিতে হয়, অথবা গৃহের ছাদে বা চালের উপর গাছ তুলিয়া দিতে হয়। বর্ষাকালে গাছের গোড়ায জল জমিতে দেওয়া উচিত নহে । সেইজন্য বর্ষার পূর্বে গোড়ায় মাটী দিয়া ভরাট করিয়া দিবে। পুষ্করিণীর ধারে গাছ পুতিয়া জলের উপর মাচায় গাছ তুলিয়া দিলে গাছে অধিক ফল ধরে। যে লাউ আকারে লম্বা এবং দেখিতে খুব শাদা নহে, তাহাই অধিক সুস্বাদু ও উপকারী । ৩।৪ মাসের মধ্যেই গাছে ফল ধরিতে আরম্ভ করে এবং মাঘ মাস পৰ্য্যন্ত ফল পাওয়া যায় ।