পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

୬୪ଞ୍ଚି ܠ ܘ মুলা ( বর্ষাভি ) :—বৰ্ষাতি মূলার বীজ জ্যৈষ্ঠ মাসেই বপন করা উচিত। বর্ষাতি মূল শীতের মুলার মত আকারে বড় হয় না, কিন্তু খাইতে বেশী মিষ্ট ও স্বাদু। মলা মাটীর মধ্যে জন্মায়, সেই জন্য ইহার মাটা খুব হালকা ও একটু বালিঘুক্ত হওয়া আবশ্যক। পুব গভীর করিয়া খনন করিয়া মাটী বেশ ঝুরা-বুরা করিতে হয, নতুবা মাটী কঠিন থাকিলে, মূল। বড় হয় না । মুলার পাট সহজ নহে, তাই খনার বচনে আছে :- “ষোল চাষে মূলা । তার অর্দেক তুলা ৷” গোয়াল-ঘরের জঞ্জাল এবং গোবর সার মূলার পক্ষে ভাল। জমীতে আধি হাত অন্তর সারবন্দী ভাবে বীজ ছিটকাইয়া দিতে হয়। মূলার বীজ আতিশয় ছোট ; সেইজন্য চারি গুণ ঝুরা মাটীর সহিত বীজ মিশাইয়া লাইয়া জমাতে ছিটাইয়া দিলে বীজ বেশ সমভাবে সকল স্থানে ক্ষেত্রে পড়ে, নতুবা একস্তানে অধিক অন্যস্থানে অল্প পরিমাণে বীজ পড়িবাব সম্ভাবনা ৷ গাছগুলি ঘন হইয়া বাহির হইলে, পাচ আঙ্গুল অন্তর গাছ রাখিয়া বাকি গাছ গুলি চাবাইয়া দেওয়া উচিত। গাছে ১০ । ১২ দিন অন্তর জল দেওয়া দরকার । দেশীয মুলার মধ্যে মেদিনীপুর, বীরভূম ও পাটনার মূলাই উৎকৃষ্ট বিলাতী মূল আকারে ছোট হয় তবে উহার ঝাজ অতি তীব্ৰ। আগ্রহায়ণ মাসে বিলাতী মূল বপন করা উচিত এবং উহা কাঠের বাক্সে বপন করিয়া প্ৰথমে চারা তৈয়ার করিয লওয়া দরকার । ভেচ্যাভিসন :-ক্ষেত্রমধ্যে ১০ হাত অন্তর মাদা করিয়া বীজ বপন করিবে। জ্যৈষ্ঠ মাসে অথবা আষাঢ় মাসের প্রথমে বীজ বপন করা উচিত । ফাল্গুন-চৈত্র মাসেও বীজ বপন করা চলে, কিন্তু তাহার ফলন ভাল হয় না । ছোট গাছে অধিক ফুল ধরিলে ফুল ছিড়িয়া দেওয়া উচিত। বীজ অঙ্কুরিত হইবার পর এক মাসের মধ্যেই ফল ধরিতে থাকে ।