বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sty জীবন্মত-রহস্য behera 12 al-leas-in-a-riath বিচারের পরদিন প্রাতে ইনস্পেক্টর গঙ্গারামবাবু দত্ত সাহেবের সহিত দেখা করিলেন । অন্যান্য কথাবাৰ্ত্তার পুর প্রসঙ্গক্রমে কহিলেন, “জুলেখাকে ধরিয়া রাখিলে ভাল হইত। ডাক্তার বেণ্টউডের বিপক্ষে এরূপ সাংঘাতিক মিথ্য সাক্ষ্য দিবার জন্য তাহার কঠিন দণ্ড হওয়া উচিত। সেই বেটীই অনিষ্টের মূল। আমাদের বড়ই ভুল হইয়াছে— বেটী খুব ফাঁকি দিয়াছে।” দত্ত সাহেব সে কথায় বড়-একটা কাণ দিলেন না । মথি তুলিয়া একবার গঙ্গারামের দিকে চাহিয়া একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ত্যাগ করিলেন । র্তা তার বুকের মধ্যে যে অনলদাহ উপস্থিত হইয়াছিল, যেন তাতারই হস্কা দীর্ঘনিঃশ্বাসের সহিত এক-একবার বাহির হইতেছিল। বাষ্পসংরুদ্ধকণ্ঠে কহিলেন, “আমার আজ একি সৰ্ব্বনাশ হইল! সুরেন—অমর—তোদের মনে এই ছিল রে! তোরা দুইজনেই আমাকে ফাঁকি দিয়া গেলি গঙ্গারাম বড় বিস্মিত হইলেন। কহিলেন, “কি আশ্চৰ্য্য ! আপনি অমরের জন্য আবার দুঃখ করিতেছেন ?” * দত্ত সাহেব স্থির কণ্ঠে কহিলেন, *কেন করিব না, অমরের অপরাধ কি ? সুরেন্দ্রের অপেক্ষা অর্মরোন্দ্রের জন্য আরও দুঃখ হওয়া উচিত । অমর নৈরাশ্যে, ক্ষোভে মরিয়া হইয়া উঠিয়াছিল-পাগল হইয়া গিয়াছিলনিশ্চয়ই জুলেখার পরামর্শে সে সুরেন্দ্রকে হত্যা করিয়া থাকিবে। গঙ্গারাম বাবু প্ৰকৃত কথা বলিতে কি, এখন আমি বেশ বুঝিতে পারিতেছি, এ সকল ভীষণ দুর্ঘটনার জন্য ডাক্তার বেণ্টউড দোষী নহেন, সেই জুলেখাই এই সকল সৰ্ব্বনাশের মূল। সে পিশাচীকে কোন রকমে ধরিতে পারিলে दफु उांळ तांड् छ्छेऊ ।” গঙ্গারাম কহিলেন, “শীঘ্রই সে ধরা পড়িবে,-মিথ্য সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তাহার নামে ওয়ারেন্ট বাহির হইয়াছে।”