পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R জীবন্মত-রহস্ত কিছু প্ৰবল হইয়াছে। দুই বেলা ডাক্তার দেখিতেছে—ডাক্তার বেণ্টউড 可弧81 বেণ্টউড আসিলে সেলিনা তাহার মাতার কক্ষ ত্যাগ করিয়া এক একদিন উঠিয়া বাহিরে যাইত। কোনদিন বা মা’র অনুজ্ঞায় অপেক্ষা করিত । * বেণ্টউড আসিয়া তাহার মুখের দিকে এরূপভাবে ঘন ঘন তীক্ষ্মদৃষ্টিপাত করিতেন, তাহাতে সেলিনার মন নিতান্ত অপ্ৰসন্ন হইয়া উঠিত। সে দৃষ্টিতে কি একটা বিভীষিকা মিশ্রিত থাকিত, সেলিনা কিছুতেই তাহা অনুভব করিতে পারিত না। সেই দৃষ্টিতে যেন একটা অপূৰ্ব্বানুভূত মোহ সঞ্চালিত হইয়া তাহার সর্বাঙ্গ প্ৰায় অবসন্ন করিয়া তুলিত। বেণ্টউড মেসমেরিজম বা হিনপটীজম প্রক্রিয়ায় খুব অভ্যস্ত ছিলেন ; সেইজন্য সহজেই তঁহার স্থির দৃষ্টিপাতে মনের ভিতরে এইরূপ একটা অনিবাৰ্য চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করিত। একদিন সেলিনা তাহার মুখের দিকে বেণ্টউডকে সেইরূপ ভাবে চাহিতে দেখিয়া কহিল, “আপনি এরূপ ভাৱে আমার দিকে চাহিবেন না-আমার বড় ভয় হয়। আপনার দৃষ্টি বড় ভয়ানক।” বেণ্টউড বলিলেন, “যাহার সহিত কথা কহিতে হয়, তাহার দিকে না চাহিয়া, অন্যদিকে মুখ ফিরাইয়া-” বাধা দিয়া তারস্বরে সেলিন বলিলেন, “আমার সঙ্গে আপনার কথা কহিতে হইবে না-আমি এখনই উঠিয়া যাইতেছি।” রোগশয্যায় পড়িয়া সেলিনার মাতা সব শুনিতেছিলেন । সেলিনার এইরূপ রূঢ় ব্যবহারে তিনি অত্যন্ত রুষ্ট হইলেন। বলিলেন, “সেলিনা, তোমার স্পদ্ধা বাড়িয়াছে, দেখিতেছি।” সেলিনা জননীর কথায় কৰ্ণপাত না করিয়া তৎক্ষণাৎ কক্ষের বাহির হইয়া গেল ।