বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া সেলিনার মাত কহিলেন, “সেলিনাকে লইয়া যে আমি কি করিব, কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না। মেয়েটা ক্ৰমে বড় अदांक्षा श्घ्र ठठि6डgछ।” বেণ্টউড কহিলেন, “আমার বিশ্বাস, অমরেন্দ্রের সহিত সেলিনাব বিবাহ দিবার সংকল্প যত দিন না। আপনি ত্যাগ করিবেন, ততদিন আপনি সেলিনার এ অবাধ্যতা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাইতেই দেখিবেন।” সেলিনার মাত কহিলেন, “সেলিনা আমার যতই অবাধ্য হউক না। কেন, যেমন করিয়া পারি, আমি অমরেন্দ্রের সহিত তাহার বিবাহ দিবই ।” বেণ্টউড কহিলেন, “আমারেন্দ্রের হস্তে কন্যা সমৰ্পণ করিতে আপনার এত আগ্ৰহ কেন, বুঝিলাম না। এমন কি আমার প্রস্তাবও আপনি একেবারে অগ্ৰায়ু করিলেন। মিঃ অমরেন্দ্র তেমন ধন্যবান নহেন। যদিও তিনি ব্যারিষ্টার-অ্যাট-ল, কিন্তু এখনও তঁহার তেমন পসার হয় নাই ; পরে হই’ব কি না, তাহারই বা ঠিক কি ? তাহার মাতুল মহাশয়ের যাহা কিছু বিষয়-সম্পত্তি আছে, তাহাও আবার দুই ভাগ হইবে।” সেলিনার মাতা বলিলেন, “তা” আমি জানি। কিন্তু সেলিনার যে বিষয়-সম্পত্তি আছে, তাতে সে নিতান্ত দরিদ্রকে বিবাহ করিলেও জীবনে কখন অর্থাভাবের কষ্ট তাহাকে ভোগ করিতে হইবে না। বার্ষিক বিশ হাজার টাকার আয়ে একটা ভদ্র-পরিবার সসম্মান সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে প্রতিপালিত হইতে পারে।” একে সেলিনা পরমসুন্দরী, তাহার উপরে তাহার বার্ষিক আয় বিশ হাজার টাকা ; দেখিয়া-শুনিয়া বেণ্টউডের লোভ আরও শতগুণে বদ্ধিত হইল ।