পাতা:নাগপাশ - হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নাগপাশ ।

আরম্ভ করিয়াছিল যে, অতিরিক্ত স্নেহশীল কৃষ্ণনাথ তাহাতে একান্ত বিচলিত হইয়াছিলেন। সৌভাগ্যের বিষয়, ধূলগ্রামের দত্তগৃহে দুর্গোৎসব ছিল না; থাকিলে কৃষ্ণনাথ শোভাকে না পাঠাইয়া পারিতেন না। কৃষ্ণনাথ চতুর বন্ধু শ্যামাপ্রসন্নের শরণ লইলেন। শ্যামাপ্রসন্ন প্রথমে বলিলেন, “এক ঘরের এক বধূ; লইয়া যাইতে চাহিয়াছে, পাঠাইয়া দাও। না হয়, এবার অল্প দিন থাকিয়া আসিবে।”

 কৃষ্ণনাথ বলিলেন, “এখন পল্লীগ্রাম স্বাস্থ্যকর নহে।”

 “কলিকাতাই বা কি এমন স্বাস্থ্যকর? সেখানে ম্যালেরিয়া নাই ত?”

 “কি জানি? প্রথমবার যাইবে,—এখন থাক। বিশেষ সে বড় কাঁদিতেছে। দিন কতক পরেই যাইবে।”

 শেষে শ্যামাপ্রসন্নের পরামর্শমতে কৃষ্ণনাথ বৈবাহিককে লিখিলেন, “আপনি শোভাকে লইয়া যাইবার ইচ্ছা করিয়াছেন। আপনার বধূকে আপনি লইয়া যাইবেন, তাহাতে আমার আর কথা কি? তবে আপাততঃ শোভার শরীর বড় ভাল নাই। অল্প দিন হইল, তাহার জ্বর হইয়া গিয়াছে। চিকিৎসকগণ এখন যাইতে পরামর্শ দেন না। এ বিষয়ে আপনি যাহা যুক্তিযুক্ত বিবেচনা করেন, আদেশ করিবেন।”

 শ্যামাপ্রসন্ন বলিলেন, “আর অধিক কিছু লিখিয়া কায নাই। তাহারা ভাল লোক। দেখিও, ইহাতেই হইবে।”

 সত্য সত্যই তাহাই হইল। এই পত্র পাইয়া শিবচন্দ্র আপাততঃ

৯৯