মধ্যমা বধূ বলিলেন, “ভাল;—চালন বলেন, সূচ ভাই, তুমি, কেন ছেঁদা?' ঠাকুরঝি, তুমিই বুঝি বড় এক মাস শ্বশুরবাড়ী থাকিয়া আসিয়াছ?”
চপলা হাসিয়া বলিল, “সে সূর্য্যমামার দেশে এক বার যাইলে আর সহজে আসিতে হইবে না। সে দেশে কি পথ ঘাট আছে? কেবল বন। আচ্ছা, ঠাকুরঝি, বনে খুব বাঘ আছে? ডাকাত আছে?”
মধ্যমা বধূ বলিলেন, “ঠাকুরঝি অনেক দিন ঘর করিয়া আসিয়াছে কি না,—তাই সব জানে!”
বড় বধূ চপলাকে বলিলেন, “ছোট ঠাকুরপোর অসুখ দেখিয়া যাইতেছ, এবার শীঘ্র ফিরিও।”
চপলা বলিল, “কি জানি। মা যেমন বলিবেন, তেমনই হইবে।” চপলা চলিয়া গেল।
মধ্যমা বধূ শোভাকে বলিলেন, “ঠাকুরঝি, পূজার সময় না হয় একটা ছুতা করিয়া কাটাইয়াছিলে, এবার লইয়া যাইতে চাহিলে কি হইবে?”
শোভা বলিল, “তখনকার ভাবনা তখন। এখন চল, কাপড় কাচিতে যাই।”
দুই জনে উঠিলেন।
শারদীয়াপূজার সময় পিসীমা র আগ্রহে শিবচন্দ্র বধূকে লইয়া যাইবার প্রস্তাব করিয়াছিলেন। শোভার জননী তাহাতে বিশেষ আপত্তি করেন নাই। কিন্তু সে কথা শুনিয়া শোভা এমন ক্রন্দন
৯৮