পাতা:নাগপাশ - হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নাগপাশ ।

 প্রভাত উভয় পত্রই পাঠ করিল। তাহার হৃদয় আনন্দে পূর্ণ হইল। যে ভালবাসে, সে দুঃখের অংশভাগী হইয়া দুঃখের আতিশয্য প্রশমিত করে; যাহাকে ভালবাসা যায়, তাহাকে আনন্দের অংশ না দিলে তৃপ্তি হয় না। প্রভাত শোভাকে এ আনন্দের অংশ না দিয়া পারিল না। কৃষ্ণনাথ পূর্ব্বেই বিদ্রূপ করিয়া শোভাকে বলিয়াছিলেন, “শোভা, তোর বুড়া ছেলে পত্র লিখিয়াছে।”

 প্রভাত পত্নীকে বলিল, “শোভা, কাকা পত্র লিখিয়াছেন। তোমার কথা লিখিয়াছেন। শুনিয়াছ?”

 শোভা হাসিমুখে বলিল, “শুনিয়াছি।”

 প্রভাতের মুখ প্রফুল্ল হইয়া উঠিল। প্রভাত বলিল, “এবার কলিকাতায় ফিরিয়া ধূলগ্রামে যাইবে?”

 শোভা বলিল, “যাইব।” কিন্তু স্বরে আগ্রহের অভাব।

 প্রভাত পত্নীর মুখ চুম্বন করিল।

 প্রভাত পরদিনই পিতৃব্যকে পত্র লিখিল। সে লিখিল “আমি কলিকাতায় আসার পর আমার সর্ব্বকনিষ্ঠ শ্যালকের শিরঃপীড়া বাড়িয়া উঠে। চিকিৎসকদিগের পরামর্শে দুই দিনের মধ্যে দার্জ্জিলিংএ আসা স্থির হয়। আমার শ্বশুর মহাশয় আমাকে লইয়া আসিবার প্রস্তাব করিলে আমি অসম্মত হই; আপনাদের অনুমতি ব্যতীত যাইতে পারিব না।আমি শেষ পর্য্যন্ত মনে করিয়াছিলাম, কাটাইতে পারিব। কিন্তু তাহা

৮৫