বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নাগপাশ - হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নাগপাশ ।

হয় নাই। শ্বশুর মহাশয় আমার কোনও আপত্তি শুনেন নাই। তিনি বাবাকে পত্রও লিখিয়াছেন। আমিও এ বিষয়ে বাবাকে পত্র লিথিয়াছিলাম, কিন্তু তিনি আমার উপর রাগ করিয়া লিখিয়াছেন,—‘তুমি আমার অনুমতির অপেক্ষা রাখ নাই। সুতরাং তোমাকে কোনও কথা লিখাই নিষ্ফল। তুমি বড় হইয়াছ। তোমার হিতাহিত তুমি বুঝিতে পার। এখন আর তোমার কর্তব্যাকর্তব্য সম্বন্ধে আমার অনুমতি বা উপদেশ অনাবশ্যক। তাহা আর দিব না।’ আমি অনন্যোপায় হইয়া আসিয়াছি। সে জন্য বড় লজ্জিত হইয়াছি। বাবার পত্র পাইয়া আমি কিরূপ কষ্ট পাইয়াছি —কত কাঁদিয়াছি, বলিতে পারি না। আপনারা রাগ করিয়াছেন বলিয়া সাহস করিয়া পত্র লিখিতে পারি নাই। সে অপরাধ ক্ষমা করিবেন। আমি যত সত্বর হয় যাইবার চেষ্টা করিতেছি। যাইয়া শ্রীচরণ দর্শন করিব।”

 পত্র পাইয়া নবীনচন্দ্রের স্নেহার্দ্র হৃদয় প্রভাতের বেদনায় চঞ্চল হুইয়া উঠিল । তিনি শিবচন্দ্রকে সংবাদ দিলেন, প্রভাতের পত্র পাইয়াছেন।

 শিবচন্দ্র জিজ্ঞাসা করিলেন, “ভাল আছে?”

 নবীনচন্দ্র বলিলেন, “হাঁ। বৈবাহিক মহাশয় অত্যন্ত জিদ করিয়া তাহাকে লইয়া গিয়াছেন। আপনি তিরস্কার করিয়াছেন, সে জন্য কত দুঃখ করিয়াছে।”

 নবীনচন্দ্র উত্তরে প্রভাতকে লিখিলেন:—

৮৬