বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন-অষ্টম খণ্ড.djvu/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালায় কলের কাপড় । যখন আগ্নেয় ষঙ্গ বাঙ্গালায় প্রথম জানীত হইল, আনন্দে ইতর লোকেরা গাইয়াছিল ;– “কি কল বানালে সাহেব কোম্পানি ; কলেতে ধূম উঠে আপনি • তখন তাহারা জানিত না ষে সেই কলে তাহাদের কোন অপকার হইবে ; এখনও অনেক ভদ্র বাঙ্গালী জানেন না যে কলের আবিভাবে বাঙ্গালার কোন অপকার হইয়াছে বা হইতেছে । মুটি দেখিতে পাই কলের বলে দুই দিনের शृथ छ्हे ঘণ্টায় যাই, অপার নদী পার হই, সস্তা দরে কাপড় পরি ; সুতরাং আমরা কলের অপেক্ষ বাঙ্গালার মঙ্গলদায়ী আর দেখি না । . স্বীকার করি, কল শুভাপ্রদ। কিন্তু সে শুভ অনেক সময় আমাদের নিজের ; বঙ্গসমাজের নহে । আমাদের নিজের শুভ এবং সমাজের শুভ পরম্পর বিরোধী নহে সত্য, কিন্তু কোন কোন স্থলে ভাহা হয় । চোরের দৃষ্টান্ত স্মরণ কর ; যে ব্যক্তি লক্ষ টাকা চুরি করিল, তাহার কত আহলাদ । কিন্তু সেই চুরির নিমিত্ত সমাজের কত রাগ, কত ক্ষতিবোধ। তাহাকে ধরিয়৷ কারাবদ্ধ না করিলে সে রাগের শাক্তি হয় না । এই স্থলে ব্যক্তি-বিশেষের এবং সমাজের শুভাশুভ মোটা পরস্পর বিরোধী । বিরোধী বলিয়াই নীতিশাস্ত্র ও পেনাল-কোডের প্রয়োজন হইয়াছে। কলের কাপড় আমাদের জমাপন আপন পক্ষে বিশেষ ভাল । কিন্তু বঙ্গ সমাজের পক্ষে সেই রূপ কি না, তাহাই প্রথমে আলোচনা করিবার নিমিত্ত দুই একটি কথা স্মরণ করিয়া দিই। " বস্ত্রের বিষয়ে বাঙ্গালা এক সময় পৃথিবীতে অদ্বিতীয় হইয়াছিল। ঢাকায় স্বেরূপ সূক্ষ্ম ও স্বল্পর বন্ধ বয়ন হইত। তক্রপ আর কোন দেশে হইত না । পূৰ্ব্ব কালে যখন রোমানের অতি সুবেশী হইয়া উঠেন, তখন ঢাকা হইতে র্তাহার কাপাস কাপড় লইয়া যাইতেন । আমাদের দেশে সে সময় “পাট কাপড়,” আর “কাপাল কাপড়,” এই জুই জাতি বস্ত্র ব্যবহৃত হুইত ৷ রোমানেরা কাপাস কাপড় লইয়া যাইতেন এবং তাছাদের দেশে কাপাস কথাটি চলিত হইয়া গিয়াছিল । । তাৎকালিক ইহুদিরাও বাঙ্গালার বস্ত্র ব্যবহার করিতেন, ভঁাহাদের অতি প্রোচীন গ্রন্থে কার্পাসের উল্লেখ আছে । ঢাকায় যে সকল স্বক্ষয় বক্স প্রেস্তুত হইত, তাহার মধ্যে “সবনাম” আর "আব: রোঙা” অতুি আশ্চৰ্য্য। ‘সবনাম"সন্ধ্যার ' সময় স্বাসে বিস্তায় করিয়া রাখিলে প্রোতে