বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

98२ বঙ্গদর্শন । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, আষাঢ় । নৈতিক বিপ্লব সংঘটিত হইতে পারে, এমন আর কিছুতে নহে। পূৰ্ব্বপুরুষদিগের সংস্কার ও ভাবাদি সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করা অসম্ভব। বৈজনাথ বলেন,—ফ্রানসে একবার সেইরূপ চেষ্ট হইয়াছিল ; তাহা হইতেই ফ্রানসের অধোগতির স্বত্রপাত হইয়াছে। পক্ষাস্তরে, জাতীয়জীবনকে অচল করিয়া রাখাও অসম্ভব, —সমস্ত অতীতকে সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করাও অসম্ভব। অতীতের শুধু সেইসব কথাই গ্রহণ করিতে হইবে, যাহা আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিকে— আমাদের ধৰ্ম্মবুদ্ধিকে আঘাত করে না । ভারতের জন্ত পুত্তলিকার প্রয়োজন নাই ;–প্রয়োজন আদর্শপুরুষের। এই আদর্শপুরুষ অতীতের মধ্যেই প্রাপ্ত হওয় যায়। এই আদর্শপুরুষ—রাম, বিশেষত কৃষ্ণ ; এই কৃষ্ণেই আমাদের মানস-আদর্শ বাস্তবে পরিণত হইয়াছে। সৌন্দৰ্য্য, উদারত, প্রখরবুদ্ধি, বেদজ্ঞান, সাহস, লজ্জা, নম্রতা, সন্তোষ । বৈজনাথ আরো বলেন—অবশু তাহার জীবনে এমন কতকগুলি ঘটনা আছে, যাহা আমাদের নিকট সুনীতিসঙ্গত বলিয়া মনে হয় না । কিন্তু র্তাহার উচ্চচরিত্রের সহিত এ সমস্ত -কথার কোন সঙ্গতি দেখা যায় না। এই সমস্ত পৌরাণিক কথা প্রক্ষিপ্ত, সন্দেহ নাই। বৈজনাথ* মূলশ্লোকের উপর সমালোচনার ভিত্তি স্থাপন করিয়া এই কথা সপ্রমাণ করিতে চেষ্টা করিয়াছেন। তাহার প্রাচীন ধৰ্ম্মবিশ্বাসকে সমর্থন করিবার জন্ত তিনি যেরূপ উৎসাহের সহিত আধুনিক বৈজ্ঞানিকপদ্ধতি অনুসরণ করিয়াছেন, তাহা একটু হাস্তোদ্দীপক। যিগুখৃষ্টের যে-সব কথা আমাদের বুদ্ধিবৃত্তি ও ধৰ্ম্মবুদ্ধিকে আঘাত করে, কোন-কোন প্রটেষ্টাণ্টসম্প্রদায়ের ধৰ্ম্মতত্ত্ববেত্তারাও উহাকে এইরূপ অপ্রামাণিক বলিয়া দাড় করাইবার চেষ্টা পাষ্টয়াছেন । * শ্ৰীজ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর । S DBB BBBBBS BBBB BBBBBS BBBS BB BBBB DDB BBDD DDDBBB BB ১রিয়া দিয়াছেন। তিনি দেখাইতে চাহেন, হিন্দুধৰ্ম্ম ও বৌদ্ধধর্মের একই উৎপত্তিস্থান। * “হিন্দুদের মধ্যে বুদ্ধদেব একজন মহাপুরষ, মহাজ্ঞানী, সৰ্ব্বাংশে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন,—এ কৰ৷ ੇ। যাই৩ে পারে। রাম ও কৃষ্ণচরিতের স্কার, বুদ্ধচরিতেও প্রকৃত ধৰ্ম্মভাৰ অন্বেষণ করা ভারতের কৰ্ত্তব্য’। 4. (Cçmmunication au Premier Congres International des etudes d'Extreme Orient. Hanoi, 1902)