বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম সংখ্যা । ] शहिमछट्झ । । રૂ.૬ আপনার প্রত্যক্ষ দেখিতেছেন। হীরার আরি বুড়ী সম্ভবত এড়দিন মরির গিয়াছে, বহির অনুসন্ধান করিলে তাহার নির্ণয় হইতে পাল্পে কি না, বঙ্গীয়সাহিত্যপরিষৎ তাহ গবেষণার বিষয় করিবেন, কিন্তু বাঙলার ছেলের পাল যে আজিও শাদারঙের বুড়াবুড়ী দেখিলেই তাহার পশ্চাদ্ধাবন করিয়া “বন্দে মাতরম্‌” বলিয়া তাহার কর্ণতৃপ্তি সম্পাদন করিতেছে, অঙ্গহাতে এই উন্নতির যুগেও বালকচরিত্রের উৎকট স্থিতিশীলতারই পরিচয় পাইতেছি । আমি যদ্ধি অকপটে স্বীকার করি যে, এই বত্রিশবৎসর পরেও আমি বালকচরিত্রের এই রহস্তকে জগতের শ্রেষ্ঠকাব্যের অন্তর্গত বলিয়া আনন্দ অনুভব করিতেছি, তাহা হইলে আপনার আমাকে ক্ষমা করিবেন। ঔপন্যাসিক-বঙ্কিমচন্দ্র-সম্বন্ধে এত লোকে এত কথা কহিয়াছেন যে, আর সে বিষয়ে কোন কথিতব্য আছে কি না, আমি জানি না । কথিতব্য থাকিলেও আমি কোন কথা বলিতে সাহস করিব না । শ্ৰোতৃগণের মধ্যে অনেকেই হয় ত দাবি করিবেন যে আমি যখন বঙ্কিমচন্দ্রের সম্বন্ধে প্রবন্ধপাঠে উদ্যত হইয়াছি, তখন আমি স্থৰ্যমুখীর ও হুসরের চরিত্র আর একবার স্বাক্ষরূপে বিশ্লেষণ করিয়া উভয় চরিত্রের তুলনামূলক সমালোচনে বাধ্য আছি। যদি কেহ এইরূপ দাবি রাখুন, তাহার নিকট আমি ক্ষমাভিক্ষা করিতেছি। মানবচরিত্র বা মানবচরিত্র সমালোচনে আমার কিছুমাত্র শিক্ষা বা দক্ষত নাই ; কেন না, নবেলবর্তি মানবচরিত্র বিশ্লষণে নাইটক এসিড়ের কিছুমাত্র উ:, যোগিতা নাই ; ঐ মানবচরিত্র নমনীয়ও নহে, দ্রবণীয়ও মহে এবং জলে দ্রব করির উত্তাপপ্রয়োগে উহার ভাস্বরতাপাদনও অসম্ভব। আর আমার কাব্যরসগ্রাহিতার যে নমুনা দিয়াছি, তাহাতে আপনারাও আমার নিকট সে অাশা রাখেন না। e বঙ্কিমচন্ত্রের উপন্যাসসম্বন্ধে একটা স্থল কথা আমার বলিবার আছে, সেই কথাটা . সংক্ষেপে বলিয়াই আমি আপনাদিগকে রেহাই দিব । Q • e এক শ্রেণীর সমালোচক আছেন, তাহার বলেন, মানবসমাজের সুখদুঃখ, রেষারেষি, দ্বেষাদ্বেষি এবং ভালবাসাবাসি যথাযথক্রপেই’ চিত্রিত করাই নবেলের মুখ্য উদ্দেশু ; উহাতে কল্পনার খেলার অবসর নাই। ইহার বঙ্কিমচন্দ্রের উপর সম্পূর্ণ প্রসন্ন नरश्नै। আর এক শ্রেণীর সমালোচক বলেন, পাপপুণ্যের ফলাফলের তারতম্য দেখাইয়া সমাজের নীতুিশিক্ষার ও ধৰ্ম্মশিক্ষার বিধানই নবেলের মুখ্য উদ্দেশ্য হইবে এবং “সেই উদেপ্তসাধনে সফলতা দেখিয়াই নবেলের উৎকর্ষ - বিচার করিতে হইবে। ইহারাও বঙ্কিমচন্দ্রের প্রতি সম্পূর্ণ প্রসন্ন নহেন। ব্যাকরণশাস্ত্রে যেমন ভটিকাব্য, ইহাদের মতে ধৰ্ম্মনীতিশাস্ত্রে তেমনি নবেল ; কাব্যের ছলনা করিয়া পাঠকগণকে কাদানই নবেলরচনার মুখ্য উদ্দেশু। মানবসমাজের যথাযথ চিত্র আঁকিতে নৈপুণ্যের প্রয়োজন, আর নীতিশাস্ত্র অতি সাধুশাস্ত্র, ইহা স্ট্রকার করিাও আমরা মনে করিয়া লইতে পারি—নবেল একরকমের কাব্য এবং সেন্ধ্যস্তষ্টই ঝরের গুণ।