পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

as '

  • — a

t বেৰুণ নীতিশাস্ত্র কেন, যদি কেহ দর্শনশাস্ত্র বা রসায়নশাস্ত্রকেই নবেলের বির করিতে চাহেন, তাঁহাতে আপত্তি করিব না। কিন্তু বিষয়টি যদি সুন্দর না হয়, তাহা হইলে তাহ कांवj झम्न नः । সৌন্দর্যেরও প্রকারভেদ আছে; গাছপালার ছবি সুন্দর হইতে পারে, গুপ্তকথার হরিদাসও সুন্দর হইতে পারেন, কিন্তু মানবজীবনের ও জগৎসংসারের গোড়ার কথাগুলি যিনি মুন্দর করিয়া দেখাইতে পারেন, তিনিই প্রথমশ্রেণীর কবি ; গোড়ার কথা দেখাইলেই কবি হয় না ; সেটা দার্শনিকের ও বৈজ্ঞানিকের ও ধৰ্ম্মতত্ত্ববিদের কাজ, কিন্তু তাহ ইন্দর করিয়া দেখাইতে , পারিলেই কবি হয়। বঙ্কিমচত্রের নবেলের মধ্যে সেইরকম গোড়ার কথা দুইএকটা সুন্দর করিয়া দেখান হইয়াছৈ ; ७ईछछ কবির আসনে তাহার স্থান অতি উচ্চ। .. মানবজীবনের একটা গোড়ার কথা এই যে, উহা আগাগোড়া একটা সামঞ্জস্তস্থাপনের চেষ্টামাত্র। শুধু মানবজীবনের কথাই বা' বলি কেন, বহিঃপ্রকৃতির সহিত অস্ত:প্রকৃতির নিরস্তর সামঞ্জস্তস্থাপনের নামই জীবন । র্যাহার হার্বার্টস্পেন্সার প্রদত্ত জীবনের এই পারিভাষিক সংজ্ঞা জানেন, তাহার আমার কথা সার দিবেন। জীবনের উহ অপেক্ষা ব্যাপকতর সংজ্ঞা আমি দেখি নাই। যাহার জীবন আছে, তাহাকে দুই দিকের টানাটনির মধ্যে বাস করিতে হয়। ধবল গিরিপর্ব . বহুকাল হইতে বরফের বোঝা মাথায় ‘ করিয়া ভারতবর্ষের পুরুষপরম্পর অবলম্বন করিতেছেন, কিন্তু বিজ্ঞানশাস্ত্র ब fनकैन । t $ ,િ નારા তাহার-সজীবতীয় সন্দেহ করেন । ধবলগিরি এত মহা হইয়াও শীতাতদের ও জলবৃষ্টির ও তুষারবৃষ্টির উৎপাত অকাতরে সহিয়া আসিতেছেন, এবং শত স্রোতস্বিনীর সহস্র ধারা তাহার কলেবরকে শীর্ণ ও বিদীর্ণ ও ক্ষীণ কখ্রিয়া তাহার অভ্রতেী মস্তককে সমভূমি করিবার চেষ্টা করিতেছে—সেই আপন্নিবারণের জন্ঠ তাহার কোন চেষ্টাই নাই। কিন্তু সামান্ত একটি পিপীলিকা ক্রমাগত আহারসংগ্ৰহ করিয়া আপনার ক্ষয়শীল ‘দেহের পূরণ করিয়া থাকে এবং যদি কেহ তাহাকে দলিত করে, ণে দংশন করিয়া আত্মরক্ষণে সাধ্যমত ক্রটি করে না। একদিকে বহিঃপ্রকৃতি তাহাকে ক্রমাগত ধ্বংসের মুখে টানিতেছে ; অন্যদিকে সে ধ্বংস হইতে আত্মরক্ষার জন্ত কেবলই চেষ্টা করিতেছে। তাহার কীটজীবন এই চেষ্টার পরম্পরামাত্র। যেদিন সেই চেষ্টার বিরাম, সেইদিন তাহার মৃত্যু। মানুষও ঠিক পিপীড়ার মতই জীবন ব্যাপিয়া আপনাকে মৃত্যুর কবল হইতে রক্ষার জন্য ব্যাপৃত। মৃত্যু অবশুম্ভাবী, কিন্তু অন্তঃপ্রকৃতিকে বহিঃপ্রকৃতির আক্রমণনিবারণে সমর্থকরিয়া মৃত্যুনিবারণের ধারাবাহিক চেষ্টাই তাহার জীবন । সৰ্ব্বনাশ সমুৎপন্ন হইলে পণ্ডিতলোকে অৰ্দ্ধত্যাগে বাধ্য হন ; তাই মৃত্যু অনিবাৰ্য্য জানিয়া পণ্ডিত-জীব আপনার অৰ্দ্ধেককে অপত্যরূপে রাখিয়া অপরাদ্ধকে ত্যাগ করিয়া থাকেন : সৰ্ব্বনাশ সমুৎপন্ন হইলে জীবনের কিয়দংশরক্ষার জন্য এই অপত্যোৎপাদন। আহার, নিদ্র, উয়, আর চতুর্থ একটা “প্রবৃত্তির একমাত্র উল্লেখ যেন তৈন জীবনরক্ষা; এবং জীবনরক্ষার দুই । উপায়, আত্মরক্ষা ও বংশরক্ষা। পশুরু সহিত