বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o લક્ષ્મ সংখ্যা । ] ಹ l 每 నీనీ দেশের লোকের অবোধ্য ভাষায় দেশের লোককে স্বোধনের অদ্ভুত প্রণালী তাহার স্থিরবুদ্ধি সৃষ্টত বলিয়া গ্রহণ করে নাই। এমন কি, তিনিই বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে বাঙলাভাষার প্রথম ও শেষ ব্যাকরণ সুখিয়া গিয়াছেন। রামমোহন রায় যাহা বুঝিয়াছিলেন, তাহার পরবর্তী বাঙালীর তাহা বুঝিড়ে পারেন নাই। হিন্দুকালেজপ্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিপন্ন হষ্টয়া গেল যে, হিন্দুস্থানে হিন্দুসস্তানের আশর বা আলম্বন, হিন্দুসস্তানের জ্ঞাতব্য বা রক্ষিতব্য কিছুই নাই উমিচাদের সম্পৃক্ত দলীলে পরের নাম জাল করিয়া যিনি এদেশে সাম্রাজ্যপত্তন করিয়া গিয়াছেন, তাহার স্বদেশ হইতে হিন্দুস্থানের লোককে ধৰ্ম্মশিক্ষার প্রণালী পর্য্যন্ত আমদানি করিতে হইবে। এই বৰ্ব্বর দেশের বর্বর জাতির প্রাচীন সাহিত্যে ক্ষীরসমুদ্র ও দধিসমুদ্রের কথা ভিন্ন আর কোন কথা নাই সিদ্ধান্ত করিয়া লর্ড মেকলে এদেশে পাশ্চাত্যশিক্ষা আনয়ন করিলেন। বিদেশের এই নূতন আমুদানি শিক্ষাকে এদেশের লোকে সমাদরে গ্রহণ করিল ও তাহার সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্তু করিয়া বসিল, ইংরেজের মত মহাশয়পুরুষ যখন এ দেশকে বৰ্ব্বরের দেশ বলিয়াছে, তখন সেই বৰ্ব্বরের ভাষায় সাহিতাস্বষ্টির চেষ্টা সম্পূর্ণ,বৃথা হইবে। ইংরেজিশিক্ষার প্রথম ধাক্কায় আমাদিগকে ঘর হইতে বাহিরে লইয়া পরের দ্বারে সাহিত্যের স্বষ্টি করিয়া গিয়াছেন। ইংরেজি লিখিয়া যশস্বী হইবার অস্বাভাবিক দুরভিলাষের বন্ধন হইতে বঙ্কিমচন্দ্রই আমাদিগকে মুক্তি দিয়া গিয়াছেন। * বঙ্কিমচন্দ্র যাহার মূলে নাই, সে জিনিষ বাঙলাদেশে চলে না। রামমোহন রায় বাঙলভাষার সাহায্যে বাঙ লাসাহিত্যের স্বষ্টির প্রয়াস পাইয়াছিলেন, কিন্তু তাহার চেষ্টা চলে নাই ; তাঙ্গর পরবর্তী শিক্ষিতবাঙালী সেই গতির রোধ করিয়াছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যা সাগর সংস্কৃতভাষার ও সংস্কৃতসাহিত্যের পুণ্যতোয়ে বাঙ লাভাষাকে স্নান করাইয় তাহার দীপ্তকলেবর শিক্ষিতসমাজের সম্মুখে উপস্থিত করিয়াছিলেন ; কিন্তু-শিক্ষিতসমাজ তাহার' প্রতি শ্রদ্ধাপ্রকাশ কর্তব্য বোধ করে নাই । রামমোহন রায়ের ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দেবদেহের জ্যোতিৰ্ম্মণ্ডিত শিরোভূষণ হইতে একখানি মাণিক্য অপসারণ না করিয়াও আমরা স্বীকার করিতে পারি যে, তাহারা যে কুষ্ঠে অসমর্থ হইয়াছিলেন, বুঙ্কিমচন্দ্রের প্রতিভা অবলীলাক্রমে সেইকাৰ্য্যসম্পাদনে সমর্থ হইয়াছিল। আপনাদের সকলের শ্রদ্ধাভাজন ও আমার প্রিয়মুহৃত শ্ৰীযুক্ত হীরেন্দ্রনাথ দত্ত মহোদয় সেদিন রাগের মাথায় . তাহার বহুপরিশ্রমে উপার্জিত ইংরেজি বিশ্ববিদ্যালয়ৰু ডিপ্লোমখানিকে চোতাকাগজ বলিয়া ফেলিয়াছিলেন। ভিক্ষার্থিবেশে স্থাপিত করিয়াছিল, বঙ্কিমচন্দ্র উপস্থিত প্রবন্ধলেখকেরও ঐরূপ একখানি কাগজ আমাদিগকে আপন ঘরে ডাকিয়া আনেন।. বিদ্যাসাগরমহাশয় বাঙলাভাষাকে সংস্কৃত-করিয়া উহাকে সাহিত্যন্থটির উপযোগী কুরিয়াছিলেন, বঙ্কিমচন্দ্র উহাকে পুনঃসংস্কৃত করিয়া বাঙল আছে কিন্তু যখনু উছাঁর উপর নির্ভর কঠিয়াই জীবিকা অর্জন করিতেছি এবং উহার বলেই আজি আপনাদের সম্মুখে দাড়াইতে সাহস করিতেছি, তখন ঐ কাগজখানির প্রতি ঐক্ষপ