পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\O28 পশ্চিমবাসিগণ জামাদের কথা বুঝিতে পারেন না এবং আমরা তাহাদের কথা বুঝিতে পারি না । ইহা একত্র বাসের প্রধান অন্তরায়। श्वः । ব্যঞ্জনবর্ণের শেষ অক্ষর হ, তাহার উচ্চারণ সৰ্ব্বত্রই সমান, ইহাতে কোন বৈষম্য নাই এবং ইহার বিশুদ্ধতার প্রতিও কোন সংশয় नाहे । च ७क यूख्वर्म, हेझ रू ७तः श এই বর্ণদ্বয়ের সংযোগে হইয়াছে। পূৰ্ব্বে দেখান গিয়াছে যে, ‘য’র একপ্রকার উচ্চারণ ‘খ’ আছে; তদনুসারে ‘ক্ষ’র উচ্চারণ ‘ক’র নীচে "খ" দিলে যাহা হয়, তাহাই এবং জামরা সেইরূপ উচ্চারণই করিয়া থাকি । ইতিপূৰ্ব্বে আরও বলিয়া আসিয়াছি যে, পশ্চিমে কোন কোন স্থানে ‘ৰ’কে ‘ছ’র ন্যায় উচ্চারণ করিয়া থাকে, এইজন্য সে দেশে কোন কোন স্থলে ‘ক্ষ’কে ‘ক’র নীচে ছি’ দিলে যে প্রকার উচ্চারণ হয়, সেইপ্রকার উচ্চারণ করে ; যথা—লী=লক্‌ছ মী। কেহ বা তাদৃশ উৎকট উচ্চারণ করিতে অক্ষম হইয়া লক্ষ্মী-লক্ষ্মণ’স্থানে ‘ক’ লোপ করিয়া লছমী-লছ মন বলিয়া থাকে। এস্থলে ক্ষ=ছ। অতএব ‘ক্ষ’র প্রচলিত উচ্চারণ ত্রিবিধ, যথা–কখ, কুছ এবং ছ। किरू প্রকৃত উচ্চারণ কৰ। লক্ষ্মী=লক্ষ্মী। কেহ মনে করিতে পারেন যে, এই উচ্চারণবৈষম্যে বিশের ক্ষতি কি আছে ? এইজন্য ছুইটি উদাহরণ দিতেছি । - ১। ক্ষত্রির একটি শব্দ, ইহাকে উক্তপ্রকার-বৈষম্যহেতু কোন প্রদেশে ক্ষত্রিয়, কোন প্রদেশে ছত্রিঃ উচ্চারণ করিয়া-থাকে। ক্রমে স্বক্রিয় এবং ছত্রির দুইটি শৰ যে এক, बघृष्णांबि ।। [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, অগ্রহায়ণ । ইহা ভুলিয়া-গিয়া লোকে এখন মনে করে, " ক্ষত্রিয়;এবং ছত্রিয় দুইটি বিভিন্ন জাতি। এক্ষণে যে প্রদেশে ক্ষত্রিয় বলে, তথায় অনেক ছত্রিয়বাদী দেশের লোক আসিয়া বাস করিয়াছে এবং ছত্রিয়বাদী দেশেও ক্ষত্রিয়বাদী দেশের অনেক লোক আসিয়াছে, তথাপি তাঁহাদের নামের সেই বৈষম্যহেতু তাহার বিভিন্নজাতি বলিয়া পরিগণিত । ২ । উচ্চারণবৈষম্যের দোষ কতদূর গুরুতর হইতে পারে, তাহার দ্বিতীয় উদাহরণ দেখুন। পূৰ্ব্বে দেখান গিয়াছে যে, ‘দ’-স্থানে অনেকসময় ‘জ’ উচ্চারণ হয় এবং ‘ধ’-স্থানে ঝ হয়, বগা,— সপ্ত = সাজ, মধ্য = মাঝ, মাছর = মাজুর ইত্যাদি । এইজন্য বৈদ্ধকে বৈজ এবং বৈদ্যনাথকে বৈজনাথ বলে । দেবগড়ে যে বৈদ্য. নাথ-শিব প্রতিষ্ঠিত আছেন, তাহাকে আমরা বৈদ্যনাথ বলি, পশ্চিমে বৈজনাথ বলে। বৈদ্য বা বৈজ অর্থে চিকিৎসক। চিকিৎসকের পরম গুরু যিনি, তার নাম বৈদ্যনাথ, তিনি শিব। কিন্তু দকারের যে ‘জ’র ন্যায় উচ্চারণ হয়, তাল না জানিয়া বৈজনাথশদের ব্যুৎপত্তি সাধন করিতে যাইয়া কোন মহাত্মা এক অপূৰ্ব্ব গল্পের অবতারণা করিয়াছেন। তাহ এই—“বৈজুনামে জনৈক সাওতাল বড় দুরাত্মা ছিল । সে প্রতিদিন উক্ত শিবের মস্তকে সম্মার্জনীপ্রহার না করিয়া জলগ্ৰহণ করিত না। এই কাৰ্য্যে তাহার কদাপি বিস্তুতি বা তাচ্ছল্য ঘটে নাই। একদিন “যে র্তাহার পূজা করিত, সে আসে নাই, ঠাকুর" উপবাস করিয়া আছেন, এমনসময় বৈজু আলিঙ্গ তাহার মস্তকে নিয়মিত্ত সম্মার্জনী প্রহার