বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88之 তাহাদের স্বাতন্ত্র্যের একটা ৰোঝাপড়া চলিতে থাকে। সেখানে বুদ্ধির সাহায্যে, বিজ্ঞানের সাহায্যে আমরা একটা আপোষ করিয়া লই। সেখানে পরের স্বাতন্ত্র্যের খাতিরে নিজের স্বাতন্ত্রাকে কিছুপরিমাণে খাটো করিয়া না আনিলে একেবারে নিষ্ফল হইতে হয়। তখন কেবলই স্বাতন্ত্র্য মানিয়া নয়, নিয়ম মানিয়া জয়ী হইতে চেষ্ট হয় । কিন্তু এটা দায়ে পড়িয়া করা-ইহাতে সুখ নাই। একেবারেই য়ে স্বখ নাই, তাহ নহে। বাধাকে যথাসম্ভব নিজের প্রয়োজনের অনুগত করিয়া আনিতে যে বুদ্ধি ও যে শক্তি থাটে, তাঙ্গতেই মুখ আছে। অর্থাৎ কেবল পাইবার সুখ নয়, খাটাইবার সুখ । ইহাতে নিজের স্বাতন্ত্র্যের জোর, স্বাতন্ত্র্যের গৌরব অনুভব করা যায়—বাধা না পাইলে তাহ করা যাইত না । এইরূপে যে অহঙ্কারের উত্তেজন জন্মে, তাহাতে আমাদের জিতিবার ইচ্ছ, প্রতিযোগিতার চেষ্টা বাড়িয়া উঠে। পাথুরের বাধা পাইলে ঝরণার জল যেমন ফেনাইয়া ডিঙাইয়া উঠিতে চার, তেমনি পরম্পরের বাধায় আমাদের পরস্পরের স্বাতন্ত্র্য ‘ঠেলিয়া ফুলিয়া উঠে। যাই হোকৃ, ইহা লড়াই। বুদ্ধিতে বুদ্ধিতে, শক্তিতে শক্তিতে, চেষ্টায় চেষ্টায় লড়াই । প্রথমে এই লড়াই বেশির ভাগ গায়ের জোরই থাটাইত-ভূঙিয়া-চুরিয়া কাজ-উদ্ধারের চেষ্টা করিত । ইহাতে যাহাকে চাই, তাহীকেও ছারখার করা" হইত ; যে চায়, সেও ছারথার হইত, অপব্যয়ের সীমা থাকিত না। তাহার পরে বুদ্ধি আসিয়া কৰ্ম্মকৌশলের অবতারণা করিল। স্ট্রে গ্রন্থি ছেদন করিতে बछलेमि । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, পৌৰ চাহিল না, গ্রন্থি মোচন করিতে ৰসিল । এ কাজটা ইচ্ছার অন্ধত বা অধৈৰ্য্যের দ্বারা হইবার জো নাই ; শাস্ত হইয়া, সংযত হইয়া, भिकिङ इद्देश हेशएउ, अब्लड इ३रङ रुत्व । এখানে জিতিবার চেষ্টা নিজের সমস্ত অপব্যয় বন্ধ করিয়া, নিজের বলকে গোপন করিয়া, বলী হইয়াছে। ঝরণা যেমন উপত্যকার পড়িয়া কতকটা বেগ সংবরণ করিয়া প্রশস্ত হইয় উঠে—আমাদের স্বাতন্ত্র্যের বেগ তেমনি বাহুবল ছাড়িয়া বিজ্ঞানে আসিয়া আপনার উগ্রতা ছাড়িয়া উদারতা লাভ করে। ইহা আপনিই হয়। জোর কেবল নিজেকেই জানে, অন্তকে মানিতে চায় না। কিন্তু বুদ্ধি কেবল নিজের স্বাতন্ত্র্য লইয়া কাজ করিতে পারে না। অষ্ঠের মধ্যে তাহাকে প্রবেশ করিয়া সন্ধান করিতে হয়—অন্তকে সে যতই বেধি করিয়া বুঝিতে পারিবে, ততই নিজের কাজ-উদ্ধার করিতে পারিবে। অন্তকে বুঝিতে গেলে, অষ্ঠের দরজায় ঢুকিতে গেলে নিজেকে অন্তের নিয়মের অনুগত করিতেই হয়। এইরূপে স্বাতন্ত্র্যের চেষ্টা জয়ী হইতে গিয়াই নিজেকে পরাধীন না করিয়া থাকিতে পারে না । এ পর্য্যস্ত কেবল প্রতিযোগিতার রণক্ষেত্রে আমাদের পরস্পরের স্বাতন্ত্র্যের জয়ী হইবার চেষ্টাই দেখা গেল। জারউয়িনের প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনতত্ত্ব এই রণভূমিতে লড়াইয়ের তত্ত্ব— এখানে কেহ কাহাকেও রেয়াৎ করে না, সকলেই সকলের চেয়ে বড় হইতে চায়। কিন্তু ক্রপট্টকিন প্রভৃতি আধুনিক বিজ্ঞানবিৎর দেখাইতেছেন যে, পরস্পরকে জিতিবার চেষ্ট, নিজেকে টেকাইয়া রাখিবা