বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

حوال في পারে না। আবার কোন শ্রেণীর নাট্যেই শেষ সন্ধির অভাব নাই ; তাহাতেও নাট্য হইতে পারে না । সুতরাং নাট্যশাস্ত্রানুসারে বিয়োগান্ত নাট্যবস্তু নিতান্ত অসম্ভব। সকলের শেষেই ফলযোগ,—পাপের পরাজয়, পুণ্যের खङ्गश्च । তাহাই নাট্যাখ্য পঞ্চমবেদের সর্বপ্রধান প্রতিপাদ্য বিষয় । লোকশিক্ষার বিশেষ উদ্দেশ্যের প্রতি লক্ষ্য ন। রাখিয়া, নাট্যসাহিত্যকে কেবল দৃশুমান ' লোকব্যবহারের ছায়ারূপে চিত্রিত করিলে, এরূপ ঘটতে পারিত না । কেবল অসভ্য অশিক্ষিত জনসংঘকে কোন কৌশলে যাগযজ্ঞের সভায় নিবিষ্ট করিয়া রাখিবার জন্ত নাট্য সাহিত্য কল্পিত হইয় থাকিলে, তাহার মূলগ্রকৃতিতে এই সকল রচনারীতি দেখিতে পাওয়া যাইত না। যেখানে মধ্যপথে অকস্মাৎ নাট্যবস্তুর পরিসমাপ্তি ঘটে, সেখানেই তাহ বিয়োগাস্ত হইয় পড়ে। তাহা দৃশুমান লোকব্যবহারের অনুরূপ হইতে পারে,—স্বাতাবিক বলিয়াও প্রশসালাভ করিতে পারে,—অথবা লোকসমাজের অকৈতব চিত্র বলিয়া জগরিখ্যাত হইয়া উঠিতে পারে ;–কিন্তু তাহার শিক্ষা কোন শ্রেণীর শিক্ষা ? এই কথা জিজ্ঞাসা করিবামাত্র প্রাচ্য ও প্রতীচ সভ্যতার মূল আদর্শের পার্থক্য পরিস্ফুট হয়। সম্ভোগ এবং সংযম মানবসমাজের সম্মুখে দুইটি বিভিন্ন পথের মত জাড়াইয়া রহিয়াছে। • বৈদিকসাহিত্যে তাহারই নাম প্রেয় এবং gचङ्ग,-4क्रयाः সত্তোগাত্মক, অপরটি নিরতিশয় সংযমাত্মক, তধ্যে সম্ভোগ আপাতমধুর, সংযম পরুি ধামে পরম কল্যাণদায়ক । বেদ বলেন— श्क्रप्लेमि । t৬ষ্ঠ ৰং, পোৰ। ধীর ব্যক্তি এই দুই পথের পার্থক্য লক্ষ্য করিয়া থাকেন। যাহার এইরূপে পার্থক্য লক্ষ্য করিয়া শ্রেয়কে অবলম্বন করেন, র্তাহারাই কাম্যফল লাভ করেন ; র্যাহার প্রেয়কে গ্রহণ করেন, তাহারা কাম্যফল লাভ করিতে পারেন না। নাট্য সাহিত্যেও সেই কথা । লোকশিক্ষার ব্যবস্থা করিতে হইলে, সেই কথাই শিখাইতে হয় । ভারতীয় নাট্যসাহিত্য সেই কথা শিখাইবে বলিয়াই বিয়োগান্ত হয় নাই, সে পথ সৰ্ব্বপ্রযত্নে পরিহার করিয়াছে। পাশ্চাত্য নাট্যসাহিত্যের আদর্শ গ্ৰীকৃনাট্যসাহিত্য ; তাহার প্রধান গৌরব বিয়োগান্ত আখ্যানবস্তু ;—তাহাতে পাপের জয়, পুণ্যের পরাজয় ! তাহা স্বাভাবিক, তাহ সরস, কিন্তু তাহা লোকশিক্ষার পক্ষে মিঃ বিষ | সংস্কৃতনাট্যসাহিত্যের এইরূপ বিশেষত্ববিজ্ঞাপক সমুন্নত আদর্শ বর্তমান থাকিলেও, বঙ্গীয় নাট্যসাহিত্য ও নাট্যাভিনয় পাশ্চাত্য রীতির অনুকরণ লইয়া এখনও বিমুগ্ধ হইয়া রহিয়াছে। নাট্যশাস্ত্রের কঠিন শাসনে এই শ্রেণীর নাট্যসাহিত্যকে সমাদর প্রদর্শন করা যায় না। তাঁহাতে জাতীয়শিক্ষা মৃদুরপরাহত হইয়া পড়ে, অজ্ঞাতসারে ভারতীয় ভাৰ বিনষ্ট হইয়া যায়, অলক্ষিতভাবে পাশ্চাত্যভাব লোকসমাজকে পথভ্রান্ত করিয়া দেয় । এখনও তাঁহারই উদ্ধামনৃত্যে বঙ্গীয় রঙ্গস্থল টলটলায়মান ;—সুকুমার সাহিত্যের মর্য্যাদারক্ষক রসজ্ঞ দর্শকের অভাবে ইহার গতিরোধের উপায় . হইতেছে না। অভিনয় যেথানে বৃত্তি হইয়া দাড়াইয়াছে, সেখানে সংস্কারের পথ রুদ্ধ হইয়া গিয়াছে। কিন্তু