পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় সংখ্যা । ] . কুমারসম্ভব । >○○" মদনবিহনে ক্ষণেকমাত্র তৰু ৷ “অরি, সম্প্রতি দেহ দরশন আসি’— ছিল রতি জীয়ে কলঙ্ক কি এ ঘোর বসন্ত এ যে সমাকুল তোমা তরে ! আর কোনমতে ঘুচিবে জগতে কহু, দয়িতার দায় প্রেম কোথা যায় ভাসি’— যদিও রমণ! হই অনুগামী তোর (২১) নাহি টলে সে ত সুহৃদুজনের পরে ! (২৮) কেমন কৰি তব অন্তিম সাজ- “ইনিই না তব রহিয়া পাশ্বচর ^ 蟻 পরলোকে তুমি চলি যাবে, সে কি জানি ? স্বরামুর-সহ আনেন বিশ্ব বশে !• কিছু না কহিতুে লুকালে চকিতে আজ— মৃণাল-ছিলায় পেলব পুষ্পশর প্রাণের সঙ্গে গেছে যে অঙ্গখালি ! (২২) সেই পড়ে চিতে—সরল করিতে শর ; ক্রোড়দেশ-ভরা কুসুমিত শরাসন ;. বসন্তু সনে আলাপলে তৎপর – মুখে হাসি ছিল, অপাঙ্গে বিলোকন ! (২৩) “কোথা সে তোমার প্রিয়সথা ঋতুরাজ— যে তব রচিত কুসুমযোজিত ধনু ? দারুণ পিনাকী রোষভরে নাকি আজ সুহৃদের পথে পাঠাল তাহারো তনু !” (২৪) শুনিয়া রতির এতেক অথির বাণী— হয়ে দিশের হেন বড় লাগে ; কাতরা রতিরে বাচাতে ভরসা দানি’ মধু আসি দিলা দরশন পুরোভাগে । (રg) মাধবে নিরথি’ কত না কাদিল বাল, স্তন-সম্বাধ বক্ষে দু'হাত হানে— স্বজন পাইলে ছখের শোকের জাল ছুটে শতধার, যেন খোলা দ্বার মানে ! (২৬) বিরহবিধুর কহিলা মধুরে তবে— "স্বহরে তব নেহৱ কি আছে আর! ওঁড়ায় গুড়ায় অই ষে উড়ায় নতে পারার পার হার রে পাংগু ছার (২৭) Q? যোজি’ ধমুতবে কেমনে এভবে পশে ?(২৯) “গেছেই, গো মধু—ফিরিছে না বঁধু প্রাণে ! সে যে বাতাহত প্রদীপের মত সারা ; .আমি দ্বশাসন, চেয়ে দেখ মম পানে— কি ঘোর দুঃখ ঘিরেছে ধূমের পারা ! (৩০)

  • বিধির করণে অাধেক মরণে মরি –

বধিল মনোজে আমারে হেন যে ছেড়ে’ ! দৃঢ় আশ্রয়-তরু উপাড়য় করী, - • লঙ্কার তখন ধূলায় পতন যে রে! (৩১) “তাই ত এখন করহ অনন্তরে— বান্ধবজন মানে প্রয়োজল যাহা, বিরহ-কাতরা, (চিতা জালি’ স্বরা করে” ) লহু গো রতিরে পতি-পদতীরে আহ ! (৩২) “শশী সহ মুদি’ যায় কৌমুদী সতী, • মেঘের সহিত মিলায় তড়িৎলতা— প্রমদা যতেক পতির পথের পথি’, চেতনা-বিহীনো প্রমাণে এ হেন কথা ! (৩৩) “ওই স্বন্দর প্রিয়-কলেবর-ছাই হরফে আপন উরসে লেপন করি’, নৰ কিশলয়ে যেন মানি লয়ে’ ঠাই রাখিব এ তমু চিতাহুতাশন পরি! (৩৪)