বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ সংখ্যা । ] গোঁড়-কাহিনী। ››ዓ পেগু বৰ্দ্ধন সুপরিচিত হইয়া উঠিয়াছিল। পৌণ্ডবৰ্ধনের আর্যশিক্ষকগণ স্বতন্থভাবে যে সাহিত্যরচনায় হস্তক্ষেপ করিয়াছিলেন, একসময়ে তাহার রচনারীতি “গৌড়ীয়রীতি” নামে সুপরিচিত ছিল –তই মুললিত পদবিন্যাসকৌশলে অনন্তসাধারণ-সমুচিত-শাড়ম্ববকৌশলে শতিমধুব-অ্যাপি ?לזן কবিতে কবিতে রচনামোহে অভিভূত হইতে চয় | পে গু বর্ধন পাণ লাজোল সৰ্প প্রথম অক্টোপনিবেশ । এই পথেষ্ট সমগ প্রাণপণ্ডে জার্মাসভাত বিষ্ণুক হইয়া পঢ়িম ছিল । উপ- 饑 নিলেশমাত্রের বিশেষ লক্ষণ –স্বতস্থা । সাড়াবা উপনিবেশ সংস্থাপিত কলে, তাহ’ব • বাধা হইয়াক্ট স্বীতস্থা অবলম্বন কলিয়া থাকে । শতাব আত্মনিৰ্ভৰশীল, স্বাধীনতাপ্রিয, তাহা গন্ধোন্নতিলেীলপ । তাহাব সঞ্চী, মিতবায়ী, • শমসঠিষ্ণু, অধ্যবসায়শীল । এষ্ট সকল গুণ না থাকিলে, উপনিবেশবাসিগণ আত্মবক্ষ করিতে পারে না । পে ১ লর্চনেল অধিবাসিগণ এই সকল কলেণে শ্রীষ্মনিৰ্ব্বপণীল চষ্টয়া পশ্চাত্য শীর্গসমক হইrর স্বল্প হগৈ৷ স্বাধীনত প্রিয়তা জলবাগল সঠিক মিশিত চট্টল,গিাছিল। কি হিন্দু , কি বৌদ্ধ, কি মসলমান, কেহই পৌণ্ডবৰ্দ্ধনে আসিয়া পশ্চিমভাবত্বে অধীনতা স্বীকার করিতে সন্মত হয় নাই । তজ্জন্য পুরাকাল হইতেই পৌণ্ড বৰ্দ্ধন স্বাধীনতার লীলাভূমি বলিয়া সুপরিচিত ছিল । স্বাধীনতারক্ষার জন্য পৌণ্ড বন্ধনের অধিবাসিগণকে বাহুবলে রাজ্যরক্ষা করিতে হইত, শাসনশিলে অনার্য্যদমন করিতে হইত, জ্ঞান পড়িলাচিল । ক্ৰীড়trদপ গৌরবে প্রতিষ্ঠারক্ষা করিতে হইত। এই স্বাধীনতাপ্রিয়তা রাজধানী হইতে ক্ষুদ্র পল্লী পর্য্যন্ত ব্যাপ্ত হইয় পড়িয়াছিল। তাঙ্গতেই পে গু বৰ্দ্ধনরাজ্যের শিক্ষাদীক্ষা, আচবব্যবহার, শিল্পবাণিজ্য,—সকল বিষয়েই –স্বাতন্ত্রোর পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায় । 酸 ভূতত্ত্বরিং পণ্ডিতবর্গের মতে পৌণ্ড বৰ্দ্ধন বহু পুরাতন স্থান । তাঙ্গব তুলনায় সম তটপ্রদেশ ত্যাধুনিক। বৈদিকাগে মিথিলা পর্মান্ত বিজয়লাজা বিস্তৃত হইবার পরিচয় প্রাপ্ত হ গুয়া যায় । তৎকালে সেই পৰ্য্যস্তষ্ট ভাণীবদ্বীতীর বলিয়া পরিচিত ছিল। . তাহার জন্য মিথিলার নাম “তীরভূক্তি’ হইয়াচিল । তাহাই এখন “ত্রিহুত”নামে কথিত হইয়া থাকে। তীবভূক্তিব পূৰ্ব্বে পেগু বৰ্দ্ধনভূক্তি, তাঙ্গর পূৰ্ব্বে কামরূপরাজ্য। পেও বৰ্দ্ধনভূক্তি কখন-কখন পূৰ্ব্বপশ্চিম উভয় দিকেই অঙ্গবিস্তার করিয়া মিথিলা ও কামরূপকে অস্তম্ভ ক্ৰ করিত। মিথিলাধিপতি রাজৰি জনকের নাম বৈদিকসাহিত্যে সুপরিচিত। তিনি রাজা, তিনি ঋষি, তিনি শিক্ষা ও কৃষিকার্মের উৎসাহদাতা । তাঙ্গার আদর্শই পুরাতন প্রাচাসমাজের আদর্শ বলিয়া পরিগৃহীত , হইয়াছিল। তজ্জন্তু পেগু বৰ্দ্ধনভূক্তি পুৱা কাল হইতে কৃষিশিল্পবাণিজ্য ও শিক্ষাদীক্ষার জন্ত থ্যাতিলাভ করিয়া আসিয়াছে ।

  • বৈদিকযুগ বিজয়যুগ। সূে যুগের আর্যসমাজ বিজয়কামনায় তপস্তাপরায়ণ। সকল তপস্তারই এক লক্ষ্য-লোকজয়। লোক তিনটিমাত্র, দেবলোক, পিতৃলোক, মনুষ্যলোক। লোকুত্ৰয় জয় করিবার সম্ভ সকলেই লীলায়িত। তজ্জন্ত সেকালের অাৰ্য্যসমাজকে