পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৩৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মের অর্থ। Wogg সপ্তম সংখ্যা । ] তাহার প্রকৃত মনুষ্যত্বকে ধারণ করে, তাহার অগ্রসর হইতে চেষ্টা করি, অথবা আত্মাকেই পরমাদর্শ ঈশ্বরের সহিত তাহাকে ধরিয়া বা সংযুক্ত করিয়া রাখে, এইজন্ত তাহাই মানুষের প্রকৃত ধৰ্ম্ম । ८ण शांश इडेक, रौहिांद्र क्षेधंद्र व उक्र স্বীকার করেন না, অন্তত ঈশ্বয় বা ব্ৰহ্মকে মাজুধের পরমাদর্শ, তাহার পরমস্বরূপ বলিয়া স্বীকার করেন না-মামুষের উন্নতির পথেতাহার ধৰ্ম্মবিকাশের পথে ঈশ্বরের অনুগ্রহ বা সহায়তা স্বীকার করেন না, তাহারাও মানুষের একটা কাল্পনিক প্রকৃষ্ট আদর্শ ধারণা করিয়া নিজের চেষ্টায় তদভিমুখে অগ্রসর হইতে যত্ন করেন। তাহাদের মধ্যে যাহারা পণ্ডিত, র্তাহারা মানুষের এই শ্রেষ্ঠ আদর্শ ধারণা করিয়া আপনার মনুষ্যত্বকে তদভিমুখে বিকাশ করিতে চেষ্টা করেন,—র্তাহারা সেই আদর্শে আপনাদিগকে ধরির রাখিতে যত্ন করেন । তাছাতেই তাহাদের ধৰ্ম্ম বিকাশিত হয় । এইজন্ত চাৰ্ব্বাক-বৃহস্পতি প্রভৃতি ঋষিগণ বা মিলস্পেন্সর ডাধিন প্রভৃতি পাশ্চাত্য দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক পণ্ডিতগণ নিরীশ্বর হইলে ও ধাম্বিক ছিলেন । বুদ্ধদেব, কপিলঋষি প্রভূতিও ঈশ্বরবাদী না হইয়। পরম ধাৰ্ম্মিক ছিলেন। সিদ্ধশ্রেষ্ঠ কপিলঋষির দ্যার র্যাহারা সাংখ্য যোগী, তাহারা মানুষকে কেবল “আত্ম”স্বরূপ সিদ্ধান্ত করিয়া, আত্মাকে প্রকৃত্তির অতীত, শুদ্ধবুদ্ধমুক্তস্বভাব সিন্ধান্ত করিয়া, সেই পরমাদর্শের দিকে আপনাকে शब्रिब्र ब्रांथ, ওঁ সেইদিকে ক্রমে অগ্রসর হইয় সেই আদর্শ লাভ করাই পরমপুরুষাৰ্থ বা পরমধর্ণ সিদ্ধাভ করেন । কিন্তু আমরা में*ब्रष्क जांथांप्नब्र श्रब्रम आननं शबिब्रा পরম আদর্শ ধরিয়া অগ্রসর হইতে বাই, উভয়েরই ফল এক। উভয়েরই গতি এক অর্থে, এক দিকে । উভয়ের ধৰ্ম্মাচরণ একরূপ,—উভয়ের সাধনপথ পৃথক্ হইলেও একমুখ, কেন না, আত্মা ও পরমাখা এক । যাহারা ঈশ্বরকে পুরমাদর্শ ধরিয়া তাহার অডিমুখে অগ্রসর হন, তাহার ঈশ্বরঘোগী । আর যাহারা আত্মস্বরূপলাভ পরমপুরুষাৰ্থ জানিয়া তাহা লাভ করিতে অগ্রসর ছন–র্তাহারা অীষ্মযোগী । যাহারা আত্মযোগী, তাহার , ঈশ্বর বা অন্ত কাহারও সহায়তা বিনা কেবল নিজের চেষ্টায়, নিজের সাধনাবলে, নিজের উপর নির্ভর করিয়া—নিজের ধৰ্ম্ম বিকাশিত করিয়া অভু্যদয়ের পথে, মুক্তির পথে অগ্রসর হষ্টতে যত্ন করেন। আর র্যাহারা ঈশ্বরযোগী, তাহারা এই ধৰ্ম্মের পথে, ভগবানের অষ্টগ্রাহ, তাহার পরম প্রকৃতির অমুকম্পায়, দেব, ঋষি, সিদ্ধগণ প্রভৃতির সহায়তায়, তাহাদের উপর ভঁর করিয়া অগ্রসর হন । আমাদের শাস্ত্র অনুসারে এই শেষোক্ত পথই সহজ ও মুখসাধ্য । কেন না, স্বয়ং ভগবানের ও তাহার পর। শক্তির এবং দেবগণের অনুগ্রহে ও সহায়ে সহজে সে পথের বাধাবিঘ্ন দূর হইয়া যায়। বিশেষত তাছাই সত্যুপথ। যাহা হউক, ঈশ্বরযোগীই হউন, আর আত্মযোগীই হউন, আত্মস্বরূপ লাভ না করিলে, আত্মাকে প্রকৃতির নিগড় হইতে মুক্ত করিতে পা পারিলে, আমাদের পরমাশ লাভ হয় না, আমাদের নিঃশ্রেরসসিদ্ধি হয় না । নিঃশ্রেয়সসিদ্ধি বা মুক্তিই আমাদের পরম পুরবার্থ। অহাতে ত্রিবিধঃখের অত্যন্ত নিবৃত্তি -হর,