পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৪১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ob’ টমূটমে করিয়া সাহেব-বাবুর হোটেলে গেলেন ; সেখানে আমরা গাড়ীতে বসিয়া রছিলাম, সাহেব নামিয়া গেলেন। একটু পরে এক এক বাক্স আঙ্গুর ও অনেক বাদাম \ পেস্তা আপেল ও আরও কত কি ফল নিজে হাতে করিয়া আনিম্ন আমার কোলে দিলেন। বাবা । এ সব কি ? সাহেব। মুকুমারী ভালবাসে । বাবা । কিন্তু ও যে চাপা পড়ে গেল— এত কেন ? সাহেব বাবু পুনরায় গাড়ীতে উঠিয়া বলিলেন, “চলুন ষ্টেশনে যাওয়া যাক ; চাকরটাকে বলে এসেছি আমার ব্যাগট। নিয়ে যেতে । বাবার সহিত সেকৃহা গু করিয়া, আমার মুখে অনেক অনেক চুমো খাইয়া, রেলগাড়ী চড়িয়া - যখন সাহেব রুমাল উড়াইতে উড়াইতে চলিয়া গেলেন, তখন আমার ভারি কান্না পাইয়াছিল। বাবাতে আমাতে বাড়ী ফিরিয়া আসিলে মা জিজ্ঞাসা করিলেন, “ও বাবুট কে গা ? সাহেবি টুপি পরেন কেন ?” বাবা । উনি গাজিয়াবাদের রেলের ইঞ্জিনিয়ার—বেশ বড় কায করেন । দিল্লিতে বেড়াতে এসেছিলেন, দুইদিন হোটেলেই ছিলেন, স্কুল দেখতে গিয়ে . বেড়াতে বেড়াতে আমাদের বাড়ী এসেছিলেন । আমাদের গুজিয়াবাদে যেতে বার বার করে বলে’ গেছেন । তোমাকে নিয়ে একদিন ৰাৰ বলেছি। " @ আমি । বাবা অামি যাব । .. • বাবা । সবাই বাড়ী থেকে 藝 গেলে বঙ্গদর্শন । [ ৭ম বর্ষ, অগ্রহায়ণ, ১৩১৪ চলবে কেন ? তোর মাতে আমাতে যাব, তুই বাড়ী থাকৃবি । আমি । ( মায়ের কাছে গিয়া) মা, আমি শোক কার কাছে ? মা । শুনিস কেন ওঁর কথা, উনি ঠাট্ট করছেন ! আমি গেলেই. তুই বাবি—জুই কি একলা থাকৃবি ? f ३ হেমাও আর স্কুলে আসে না, যাত্রা খেলাও হয় না—আমি ক্ষেত্রমণির সঙ্গে জুটিয়া গেলাম। একদিন ক্ষেত্রমণি বলিল, "সবাই যদি একটা করে পয়সা দাও, তবে আমি এক জোড়া তাস কিনে আমার কাছে রাখবো, রোজ স্কুলে আসবে, ছুটির সময় আমরা খেলবো ।” আমরা ছয়জনে ছয়টা পয়সা দিলাম । পরদিনে ক্ষেত্রমণি ছোট্ট একজোড় ময়লা তাস আনিয়া বলিল “এর দাম দু-আন, আমি নিক্সে দু-পয়সা দিয়েছি।” কালীদাসী শুনিয়া বলিল “ওমা সে কিলো दगिन् कि ! छूहे ?zकझिम्-श्रांमांद्र cय এমনি একজোড়া তাস আছে তার দাম চার.পয়সা । দেখি তোর তাঁস-মাগো ! ময়লা পুরোনে—এ ভাই তুমি ফিরিয়ে দিয়ে৷ ” ক্ষেত্রমণি গম্ভীর ভাবে বলিল আর কি ফিরিয়ে নেয়। আয়ন গোলামচোর থেলি ।” - • হেমা যাওয়ার পর হইতে খেলা টেল কিছু হইত না, অগত্য সকলে তাল খেলিতে বসিলাম। চোর প্রায় আমিই হইতাম । অন্ত সকলে মাঝে মাঝে চোর হুইত কিন্তু ক্ষেত্রমণি কখনো চোর হইত না গোলাম