পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম সংখ্যা । ] প্রবাসের পাঠশালা। 8 aసి তার হাতে গেলেই সে আমার হাতে চালাইত । * একদিন ক্ষেত্রমণি আমাকে বলিল “মুকুমারী, পুতুলের কাপড় কিনৃবি ? সে • জানিত আমি পুতুল খেলিতে ভারি ভালবাসি। আমি । কোথায় বিক্ৰী হয় ? ক্ষেত্রমণি । আমায় পয়সা দিস এনে দিব। সেই দিন হইতে বাবার পকেট হইতে হউক আরমার কাছ থেকেই হউক, যেখানে যা পয়সা পাইতাম, ক্ষেত্রমণিকে দিতাম, সে আমাকে এক টুকরা করিয়া ছেড়া কাপড় দিত—কোনখানার দাম এক পয়সা, কারে - ছু পয়সা, কারো বা চার পয়সা । ক্ষেত্রমণি বলিয়া দিয়াছিল ‘ইস্কুলের মেয়েদের দেখাসনি, তাহলে তারাও চাইবে, ও বেশী পাওয়া যায় মা। আর তোর মাকে দেখাসনি, মা ব’কবে।” ভয়ে কাহাকেও কিছু বলি নাই । একদিন ম৷ আমার পুতুলের বাক্স দেখিয়া বলিলেন, “হ্যারে, তুই এ সব টুক্‌রে টুকরো ন্যাকৃড়া কোথা পেলি ? একটু ঢাকাই কাপড় ছেড়া, একটু নীলাম্বরী ছেড়া-এ সব কে দিলে তোকে ?” আমি । ( ভয়ে ভয়ে ) ও সব আমি কিনেছি মা । 够 মা। কোথা থেকে কিন্‌লি ? আমি। আমাকে ক্ষেত্রমণি কিনে এনে দেয় । মা । ক্ষেত্রমণি কিনে এনে দেয় । এর দাম কত ? এখানার দাম কত ? আমি সমস্ত বলিলাম । মা । রোস’—তোমার ক্ষেত্রমণির কাছে পুতুলের কাপড় কেন . বার করছি। একটা লক্ষ্মীছাড়া স্কুল, অনামুখে৷ পণ্ডিত, মিথ্যাবাদী সব মেয়ে, সেইখানে দেওয়া হয়েছে মেয়েকে লেখাপড়া শিখতে ! মা গজ গজ করিয়া বকিতেছেন—বাবা আসিলেন ; বলিলেন, “কি হয়েছে ? এত গর্জন কেন ?” মা ! তোমার মেয়ে সওদt দেখ—পুতুলের কাপড় কিনেছে। তার পরদিন হইতে আমার স্কুল যাওয়া বন্ধ হইল । ক্ষেত্রমণির সঙ্গে আর দেখা হইত না । বাবা কোথা হইতে এক মাষ্টার দুটাইয়া আনিলেন, তিনি নিজে স্কুলে পড়িতেন ও আমাকে পড়াইতেন, আমাদের बाङ्गोप्च्हे थकित्डन। डिनि निरखत्र अस्त्र মুখস্থ করিতেন, আমি বষ্ট হাতে করিয়া তাহার কাছে গিয়া বসিতাম, তিনি বইয়ের একটা স্থান দেখাইয়া দিয়া বলিতেন, “পড়”— আমি পড়িতাম ; কিছু, জিজ্ঞাসা করিলে বলিতেন “আমি পড়ছি, আমাকে বিরক্ত ক’রো না।” বাবার কাছে যাহা শিখিয়াছিলাম ক্রমে তাঁহা ভুলিতে লাগিলাম।—এইরূপে আমার বিদ্যালাভ হইতে লাগিল । শুভবিবাহঁ রচয়িত্রী। করেছে