পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৫৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ সংখ্যা । ] ,

  • A t

দুঃখ । IVG জালের মাঝখানে নিজের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন মেঘ মধ্যে জড়িত আবৰ্ত্তিত হইয়া উন্মত্ত ঝড় একেবারে দিশাহারা হইয়া আসিয়া পড়িল সেই আবির্ভাবু দেখিয়াছি। তাহ কি কেবল মেঘ এবং বাতাস, ধুলা এবং বালি, জল এবং ডাণ্ডু ? এই সমস্ত অকিঞ্চিৎকরের মধ্যে এযে অপরূপের দর্শন। এই ত রস। ইহাত স্বধু বীণার কাঠ ও তার নহে—ইহাই বীণার সঙ্গীত। এই সঙ্গীতেই আনন্দের পরিচয়—সেই আনন্দ রূপমমৃতম্। আবার মামুষের মধ্যে যাহা দেখিয়াছি তা মানুষকে কতদূরেই ছাড়াই গেছে। রহস্তের অন্ত পাই নাই। শক্তি এবং প্রতি কত লোকের এবং কত জাতির ইতিহাসে কত আশ্চৰ্য্য আকার ধরিয়া কত অচিন্ত্য ঘটনা ও কত অসাধ্যসাধনেক্স মধ্যে সীমার বন্ধনকে বিদীর্ণ করিয়া ভূমাকে প্রত্যক্ষ করাইয়া দিয়াছে। মানুষের মধ্যে ইহাই আনন্দরূপ মমৃতম্। কে যেন বিশ্বমহোৎসবে এই নীলাকাশের মহাপ্রাঙ্গণে অপূর্ণতার পাত পাড়িয়া গিয়াছেন—সেইখানে আমরা পূর্ণতার ভোজে বসিয়া গিলছি। সেই পূর্ণত কত বিচিত্ররূপে এৰং কত বিচিত্র স্বাদে ক্ষণে ক্ষণে আমাদিগকে অভাবনীয় ও অনিৰ্ব্বচনীয় চেতনার বিস্ময়ে জাগ্ৰত করিয়া তুলিতেছে। এমন নহিলে রসস্বরূপ রস দিবেন কেমন করিয়া ? এই রস অপুর্ণতার সুকঠিন দুঃখকে 總 কানায় কানায় ভরিয়া তুলিয়া উছলিয়া পড়িয়া ইতেছে। এই দুঃখের সোনার পাত্রটি *ैन दनिबारे कि हेशक डाडिब्र कुमाब নির এতবড় রসের ভোজকে ব্যর্থ করিবার চেষ্টা করিতে হইবে ; না, পরিবেষণের লক্ষ্মীকে ডাকিয়া বলিব হোক হোক কঠিন হোক কিন্তু । ইয়াকে ভরপুর করিয়া দাও, আনন্দ ইহাকে ছাপাইয়া উঠুক্‌ ? .# জগতের এই অপূর্ণত যেমন পূর্ণতার বিপরীত নহে কিন্তু তাহ যেমন পূর্ণতারই একটি প্রকাশ তেমনি এই অপূর্ণতার নিত্য সহচর দুঃখও আনন্দের বিপরীত নহে তাহা আনন্দেরই অঙ্গ। অর্থাৎ দুঃখের পরিপূর্ণতা ও সার্থকতা দুঃখই নহে তাহা আনন্দ। দুঃখও আনন্দরূপমমৃতম্। এ কথা কেমন করিয়া বলি"? ইহাকে সম্পূর্ণ প্রমাণ করিবই বা কি করিয়া ? কিন্তু অমাবস্তার অন্ধকারে অনন্ত জ্যোতিষ্কলোককে যেমন প্রকাশ করিয়া দেয়, তেমনি দুঃখের নিবিড়তম তমসার মধ্যে অবতীর্ণ হইয় আত্মা কি কোনোদিনই আনন্দলোকের ধ্রুবদীপ্তি দেখিতে পায় নাই—হঠাৎ কি কখনই বলিয়া উঠে নাই—বুঝিয়াছি, দুঃখের রহস্ত বুঝিয়াছি,—আর কখনো সংশয় করিব না ? পরম দুঃখের শেষ প্রান্ত যেখানে গিয়া মিলিয়া গেছে সেখানে কি আমাদের হৃদয় কোনো শুভমুহূৰ্ত্তে চাহিয়া দেখে নাই ? অমৃত ও মৃত্যু, আনন্দ ও দুঃখ সেখানে কি এক হইয়া যায় নাই ? সেইদিকেই কি তাকাইয়া ধৰি বলেন নাই “যন্ত•চ্ছায়ামৃতং যন্ত মৃত্যুঃ কস্মৈ দেবার হবিধ বিধে অমৃত, যাহার ছায়া এবং মৃত্যুও যাহারছায় তিনি ছাড়া আর কোন দেবতাকে পূজা করিব। ইহা কি তর্কের বিষয়, ইহ কি আমাদের উপলব্ধির বিষয় নহে? সমস্ত মানুষের অন্তরের মধ্যে উপলব্ধিগভীরভাবে , আছে বলিয়াই মানুষ দুঃখকেই পূজা করিয়া 聽