পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় সংখ্যা । ] পাটের চাষ ও ছড়িঙ্ক । ৬৯ ZYDDBB BBB BBS BB DDD DD BB পাটচাষের বিরুদ্ধে তৃতীয় অভিযোগ এই যে, পাট কৃষকদিগকে বিলাসী করিয়া কুলিতেছে—তাহার এখন ভাল কাপড় পরে, অঙ্গে অঙ্গরক্ষা ধারণ করে, এবং বড় বড় ইসলামাছ কিনিয়া টাকার অপব্যয় করে । এই অভিযোগ অতি অলার। লোকে স্বভাবের গতি অবরোধ করিতে পারে না। লোক श्नवान् श्रेष्ण डाँशब्र cदनष्ट्रब ७ श्राश् জাহারের জন্য স্বভাবতই আকাঙ্ক্ষণ জন্মে । যে এই আকাঙ্গ পরিতৃপ্ত করিত্বে অক্ষম, সে ব্যক্তি ঘৃণিত কৃপণ । অর্থেই লোকের লভ্যতাবৃদ্ধি করে। পাটের চাৰে প্ৰজা অর্থশালী হইলে সে কিরূপে ছিন্নবস্ত্র পরিধান করিয়া লোকসমাজে- উপনীত হয় ? তৎপরে দৈবঘটনায় তাহার অবস্থার অবনতি ঘটলেও তাহাকে বাধ্য হইল্লা দেনা করিয়াও লোকসমাজে তাহার পূর্মগৌরব রক্ষা করিতে ব্যস্ত হইতে, হয়। বঙ্গদেশীয় প্রজার এই গৌরবের আকাঙ্ক্ষা স্বাভাবিক এবং ইহা স্বারা তাহারা অচিরাং উন্নতিসোপানে অধিরোহণ করিবে, আশা করা নয়। কোন নিৱন্ন ভদ্রলোককে কষ্ঠার বিবাহ পিতামাতার শ্রাদ্ধ উপলক্ষে দেনা করিয়াঁও {্যয় করিতে হয় কেন ? কারণ, তাহার মানষমরক্ষার জন্য ইহা না করিলে চলে না। ঙ্গিদেশীয় প্রজাগণ, মানসভ্রমরক্ষা না হউক, হা লাভ করিবার নিমিত্ত কথন-কখন কিছু তিরিক্ত ব্যয় করিয়া ফেলে। ইহাতে তাহার নন্দনীয় হইতে পারে না । ইউরোপীয় এইশ্রণীর লোক দৈনিক ৩ টাকা উপার্জন করিলে थाब २५णक बरिबांनान कबिद्रा उज़रेव দয়। হিন্দুস্থানী বহু কৃষক পানাসক্ত সন্দেহ মুসলমান প্রজা এক কপর্দকও কখন মদিরার ব্যয় করে না । পাটের বাণিজ্য । ১৮২৮ খৃষ্টাকে বঙ্গদেশ হইতে পাট প্রথম বিলাতে রপ্পানী করা হয়, তৎপূৰ্ব্বে, বঙ্গদেশে অতি সামান্যভাবে পাটচাষ হইত। ইদানীং ইউরোপের নানা দেশে ও আমেরিকার পাটের ব্যবহার এত অধিকপরিমাণে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইতেছে যে, প্রতিবৎসর’পাটের আবাদ বৃদ্ধি করিয়াও অভাবমোচন হইতেছে না। • গতবৎসর বাঙ্লা ও আসাম প্রদেশে প্রায় ৪২৫লক্ষমণ ( ৮৫লক্ষ-বস্তা ) পাট উৎপন্ন হইয়াছিল। ১৯০০ সনে ৩২৫লক্ষমণ পাট উৎপন্ন হয়। এই ৬ বৎসরে ১০০লক্ষমণ অধিক পাট উৎপন্ন হুইয়া থাকিলেও ইহার মূল উত্তরোত্তর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইতেছে । এই বৎসর কলিকাতায় উৎকৃষ্ট পাট প্রতিমণ ১৪২ টাকায় বিক্রয় হইয়াছে। দুইবৎসর পূৰ্ব্বে কলিকাতায় উৎকৃষ্ট পাটের দর ৬৭ টাকা ছিল। ২০বৎসর পূৰ্ব্বে পাটের দর ৩ টাকার অধিক ছিল না। ইহার মূল্য যে শীঘ্র ৮ টাকার কম হইবে, তাহা বোধ হয় না । ইহাতে প্রজাগণ ধান অপেক্ষ পাটের চাষে বিশেষ মনোযোগ দিবে, তাহাতে আশ্চৰ্য্য কি ?. বকুশে পাটের শিল্পও বৰ্তমানসময়ে, বিলক্ষণ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়াছে। এক্ষণে উৎপন্ন । ফসলের প্রায় অৰ্দ্ধপরিমাণ বঙ্গদেশীয় কলে ব্যবহৃত হইতেছে । ১৮৯৬ সনে পাটকলে মাত্র ৯,৮৪১টি তাত ছিল, ১৯৯৬ সনে তীতের সংখ্যা ২৩,৮৮৪ হইয়াছে। বহুসংখ্যক লোক পাটকলে খাটিয়া ও পাটের ব্ল্যবসা করিয়া,