পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1. - বঙ্গদর্শন। [ ৭ম বর্ষ, জ্যৈষ্ঠ,১৩১৪ জীবিকা অর্জন করিতেছে। পূৰ্ব্ববঙ্গের কৃষকশ্রেণীও পাটচাষ করিয়া উত্তরোত্তর অবস্থার উন্নতিসাধন করিতেছে। ১৯৯৬ সনে প্রায় ৩৭ক্রোর টাকার পাটের কারবার হইয়াছে। তন্মধ্যে প্রায় ২০ক্রের টাকা প্রজার ঘরে আসিয়াছে। বঙ্গদেশ, ব্যতীত আর কোথাও পাট জন্মে না । বঙ্গদেশ আঁর কিছুদিন পাট আয়ত্তাধীন রাখিতে পারিলে, বঙ্গদেশের প্রজাবৃন্দের সৌভাগ্য বহুপৰিমাণে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইবে। ভারতবর্ষ বিদেশের সহিত যত বাণিজ্যদ্রব্যের আদানপ্রদান করে, তাহ বিচার করিলে দেথা যায় যে, ইহাতে ভারতের উৎপাদিক শক্তি দিনদিন হ্রাসপ্রাপ্ত হইতেছে। কারণ, ভারতবর্ষ হইতে যে খাদ্যশস্ত বা তৈলযুক্ত বীজ বিদেশে খায়, তাহার বিনিময়ে ভারতবর্ষ স্বত্র, লৌহ, কাঁচ, চিনি প্রভৃতি আসার পদার্থ . প্রাপ্ত হয়। নাইট্রোজেন, ফফরাস ও পটাস নামক পদার্থত্রয়ই প্রধানত ভূমির দুলভ সার। অন্যান্য পদার্থ ভূমিতে যথেষ্ট্ররূপে নিৰ্বাক্। .আমার অনন্ত ব্যথা ছাড়া পেতে চায় অর্থহীন, অর্থভর অজস্র ভাষায়, তবুও যখনি কিছু বলিবারে যাই, অশ্রজলে কোন কথা খুজিয় না পাই ! বিদ্যমান আছে। খাদ্যশস্ত, তৈলবীজ ও ডালকড়াই বিদেশে পাঠাইলে ইহাদের সহিত উক্ত তিন পদার্থই ভারত হইতে দিনদিন লুপ্ত হয়। পাট, তুলা, চিনি, তৈল, পালে প্রভৃতি পদার্থে উক্ত সার পদার্থত্রয় থাকে না । সুতরাং মৃত্তিকার উর্বরতাসম্বন্ধে বিচার করিলে ইহারা অসার। সুতরাং পাট ও তুল বিদেশে রপ্তানি করা ভারতবর্ষের থক্ষে আলাভের কথা হইতে পারে না। পাট বিক্রয় করিয়া রেসুল হইতে চাল-ডাল আনয়ন করিলে ভারতবর্ষের লাভ। এই সকল বৈজ্ঞানিক .তত্ত্ব আলোচনা করিয়া যেদিন ভারতবর্ষ বহি বাণিজোর • আদানপ্রদান করিবে, সেদিন কল্পনার দ্বারা নির্দেশ করা যায় না । পাটচাষের বিরুদ্ধে সংগ্রাম না করিয়া যাহাতে উপযুক্ত-সার-প্রয়োগে ইহার ফসলের পরিমাণੇਸ਼ এবং সাহাতে পাটের বহির্বাণিজ্য অক্ষুণ্ণ থাকে, তাহার বিহিত চেষ্ট করিলে দেশের পরম কল্যাণ সাধিত হইবে। শ্ৰীনিবারণচন্দ্র চৌধুরী। নিৰ্বাণ । এত শিশুমুখ, এত মেহের বচন এ রুদ্ধ হৃদয়ম্বার করে না মোচন, সেথায় পশে না আর কোন হাসিগান, কোন আলো, কোন ছায়া-সকলি নিৰ্ব্বাণ । ঐপ্রিয়ম্বদা দেবী।