পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭৬ 碑邪可日 রাই ইংরাজী প্ৰণালীতে হিন্দুষ্ট্ৰী-শিক্ষার পক্ষপাতী। একদিন সমগ্ৰ পৃথিৱী খুধৈৰ্ম্মের । উপাসক হইবে, কতকগুলি খৃষ্টান অখণ্ড বিশ্বাসে সেই বাসনাকে হৃদয়মধ্যে পোষণ করেন। সমগ্ৰ পৃথিবীর কথা আমরা বলিতে পারি না, কিন্তু এই ভারত-ক্ষেত্রেয় নাম ধৰ্ম্মক্ষেত্র ; হিন্দুকামিনীরা এই ক্ষেত্রের গৌরবরক্ষা করিতেছেন, হিন্দুকামিনীগণকে ভিন্নধৰ্ম্মে লইয়া যাওয়া নিতান্ত সহজ হাঁটবে না, পূর্ণ বিশ্বাসে অবশ্যই এ কথা বলা যাইতে পারে। পূর্ণ বিশ্বাস থাকিলেও পূর্ব হইতে সাবধান হইয়া থাকা সৰ্ব্বতোভাবে কৰ্ত্তব্য । ቫኣ স্ত্রীলোকেরা তরলমতি ; পুনঃ পুনঃ বিরুদ্ধবাদ শ্রবণ করলে উন্মাৰ্গগামিনী হইবার সাধ তাহদের মনে উদিত হইতে পারে। যাহাতে না পারে, তাহার উপায় করা পুরুষগণের কৰ্ত্তব্য। দিন কাল যেরূপ পড়িয়া আসিসেছে, তাহাতে দেখা যায়, পুরুষেরাই বিবিয়ানা শিক্ষায় প্রশ্ৰয় দিতেছেন। পরিণাম-চিন্তা তাঙ্গাদের মনে উদিত হইতেছে না। তরল শোণিতের উত্তাপে মস্তিষ্ক বিকারপ্রাপ্ত হয়। শীতল-বুদ্ধির পরামর্শ না লইয়া যাহারা আপনাদের পদে কুঠারাঘাত করিতে ব্যগ্ৰ, আঘাতের যন্ত্রণায় পরিণামে তাহাদিগকে পরিতপ্ত হইয়া অনুতাপ করিতে হইবে ; একখানি প্রহসনের নাম স্মরণ করিয়া চতুর্দিকে তঁহারা দর্শন করিবেন, তাজব ব্যাপার । তাজব ব্যাপার ! r হিন্দুদায়ভাগের বিধানে স্বধৰ্ম্মত্যাগী পুত্রেরা পৈতৃক বিভবের উত্তরাধিকারী হইতে পারে না; দায়ভাগ পরিবর্তন না করিয়াও বৰ্তমান রাজপুরুষগণ তাহার বিপরীত ব্যবস্থা করিয়াছেন। 'হিন্দুসন্তান খৃষ্টধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিলে পিতৃসম্পত্তির অধিকারী হইবে, সে ব্যবস্থানুরূপ নজীরও হইয়াছে। সয়ারাম চট্টোপাধ্যায় “পত্নীকাবান্তে” যুগল সহােদরের সহিত খৃষ্টধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিয়া পৈতৃক সম্পত্তির অংশ-গ্রহণে অভিলাষী হইলেন। ঐ রূপ নজীর যখন ছিল না, পৈতৃকসম্পত্তিতে । বঞ্চিত হইবার আশঙ্কায় ধনবানের সন্তানেরা তখন অন্য কোন প্রকার প্রলোভনে খৃষ্টধৰ্ম্ম-গ্রহণে সন্মত হইতে পারিতেন না। চাকুরী পাইবার, অশ্ব পাইবার কিম্বা বিবি পাইবার লোভে যে সকল গরীবের ছেলে খৃষ্টান হইত, লেখা-পড়া জানা না থাকিলে তাহাদের কষ্টের সীমা খাকিত না। পাদরী সাহেবের বলিতেন, তাঁহাদের ধৰ্ম্মে ঐ হর্ক সুখ নাই; সুতরাং খৃষ্টধৰ্ম্ম-দীক্ষিত, অশিক্ষিত গরীবের ছেলেরা ঐহিক সুখের আশায় জলাঞ্জলি দিয়া একপ্রকার অনাহারে উৰ্দ্ধদৃষ্ট