বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

लूकी ऊझश, {N} মঙ্গলের সঙ্গে সঙ্গে যতগুলি অমঙ্গল আসিতেছে, তাহা আমাদিগের ভাগ্যের দোষে। আমরা মঙ্গলের সদ্ব্যবহার জানি না, সেই জন্যই হয় তা পদে পদে আমাদের পদষ্মলন হইতেছে, ইংরাজী সভ্যতা সেই সকল অমঙ্গলের গাত্রে ঘন ঘন বাতাস দিতেছে। সে বাতাসকে আমরা সুবাতাস কি কুবাতাস বলিব, তাহা জানি না। যাহারা আমাদিগকে জানাইয়া দিবেন, তাহাদিগের নিকট আমরা কৃতজ্ঞ হইয়া থাকিব । ইংরাজী শিক্ষা আমাদের দেশের লোকগুলিকে চাকরী দিতেছে, শিক্ষার নিকটে আমরা সেই জন্য কৃতজ্ঞ। শিক্ষালাভ করিয়া চাকরী ব্যতীত আর যাহা লাভ করিতে হয়, আমাদের সমাজে আমরা তাহা দেখিতে পাইতেছি না। শিক্ষায় গুণে জ্ঞানলাভ হয়, জ্ঞানজ্যোতিতে ধৰ্ম্ম-পন্থা প্ৰকাশিত ; হয়, মহৎ মহৎ লোকের উপদেশে তাঁহাই আমরা জানিতে পারি ; কিন্তু পাদরী সাহেবেরা এ দেশে আগমন পূর্বক ইংরাজী বিদ্যালয় খুলিয়া অল্প-শিক্ষিত। অথবা অৰ্দ্ধ-শিক্ষিত বালকগণের মনে ধৰ্ম্মবিশ্বাস স্টলাইয়া দিতেছেন। ৰে শিক্ষার ধৰ্ম্মবিশ্বাস টলে, সেরূপ শিক্ষাকে আমরা দূর হইতে নমস্কার করি। আমাদের দেশে বিদ্যা প্রচার হইতেছে, বিদ্যা-কল্পদ্রুম জন্মিতেছে, শাখা-পল্লব। প্রচারিত হইতেছে, কিন্তু কল্পদ্রুমের নিকটে আমরা যেরূপ ফলপুষ্পের প্রত্যাশা রাখি, তাহ প্ৰাপ্ত হইতেছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষণ সুরভিময় কুসুম প্ৰসধ করিবে, সেই কুসুম হইতে সুস্বাদু ফল উৎপন্ন হইবে, সকল দেশের সকল লোকেই এইরূপ আশা রাখেন, দুৰ্ভাগ্যক্রমে আমাদের দেশে সে আশা ফলবর্তী হইতেছে না। এখন র্যাহারা গবৰ্ণমেণ্টের শিক্ষা-সংক্রান্ত বিভাগে শিখরদেশে আরূঢ় হইতেছেন, তঁহার এক এক প্রকার কৌশলজাল বিস্তার করিয়া শিক্ষাসংকোচের প্রয়াস পাইতেছেন। আমরা চতুর্দিকে :বিভীষিকা দর্শন করিতেছি, আমাদের জাতীয় ব্যবসায়গুলি ক্রমশঃ পরহস্তগত হইতেছে, এক উপায় ছিল । বিস্তাশিক্ষা, তাহাও সংকুচিত হইতে চলিল ; যাঁহাদের ব্যবসায়, তঁহাদের হন্তের - যাহা কিছু অবশিষ্ট ছিল, তঁহাদের সস্তানের নিজ নিজ বুদ্ধির দোষে তাইহাও হারাইতেছেন। ইংরাজী বিষ্ঠা সংকুচিত হইলে ক্ৰমে ক্রমে যদি জাতীয় ব্যবসায়ের প্রতি জাতীয় লোকের প্রবৃত্তি জন্মে, তাহা আমরা মঙ্গল বলিয়া মানিব। আশা বট এরূপ ; কিন্তু বিদেশী বণিকৃগণের সহিত প্রতিযোগিতা করা।