পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢रे 碑枣罗神 আমাদের দেশের আলান্তপ্রিয় বিলাসপরতন্ত্র লোকের পক্ষে অসাধ্য, অশেষবিশেষ প্রকারে তাহা প্ৰতিপন্ন হইয়াছে। পলাশীযুদ্ধে জয়লাভ করিয়া কাপ্তেন ' ক্লাইব যখন লর্ড ক্লাইব হন, তখনও আমাদের জাতীয় ব্যবসায় আমাদের জাতীয় লোকের হস্তে ছিল। কেবল ছিল মাত্র, এমনও নয়, সর্বাংশেই পূর্ণাঙ্গ ছিল। সুন্ম সুন্ম শিল্প হইতৃে মোটা মোটা কাৰ্য্য পৰ্য্যন্তও এ দেশের লোকের দক্ষতার পরিচয় দিত। দেশের লোকের কোন প্রকার অভাব ছিল না। পলাশী যুদ্ধের অবসানে ইংরাজী কুঠীয়াল সাহেবরা সেই ব্যবসায়ের প্রতি তীব্রতর সলোভদৃষ্টি নিক্ষেপ করিতে আরম্ভ করেন। একটা দৃষ্টান্ত দ্বারা আমরা তাহা বুঝাইব । এ দেশের তঁতিরা তখন উত্তম উত্তম বস্ত্ৰ বয়ন করিয়া দেশের অভাব-বিমোচন করিত, আপনারাও যথেষ্ট লাভবান হইত। ইংরাজী পাট্টার জোরে কুঠীয়াল সাহেবের এ দেশের বস্ত্রের ব্যবসায় আপনাদের হস্তে লাইতে মহা ব্যগ্র হন। তত্তবায়গণের সহিত তেঁহাদের এরূপ বন্দোবস্ত হয় যে, তাহারা যেখানে, যত বস্ত্ৰ বয়ন করিবে, তৎসমস্তই ন্যায্য মূল্যে ইংরাজী কুঠীতে সরবরাহ করিতে হইবে ; তন্তুবায়েরা নিজে নিজে অপরের নিকটে সে সকল বস্ত্ৰ বিক্রয় করিতে পরিবে: না। যখন মুসলমানের আধিপত্য ছিল, ইংরাজী কুঠীয়ালেরা তখনও অনেক কুঠা করিয়াছিলেন ; কিন্তু লর্ড ক্লাইবের অভু্যদয়ে এই সকল কুঠীয়ালের ক্ষমতা সহস্ৰগুণে বৃদ্ধি পাইয়াছিল। কুঠীয়ালেরা তখন এ দেশের ব্যবসায়ীগণের প্রতি যতদূর নিষ্ঠুর ব্যবহার করিয়ছিলেন, লেখনীমুখে তাহা ব্যক্ত করিবার নহে। তন্তুবায়গণের প্রতি শেষকালে এইরূপ হুকুম হইয়াছিল যে, গোপনে তাহারা যদি অপরের নিকটে বস্ত্ৰ বিক্রয় করে, সাহেবের। তবে তাহাদিগের বস্ত্রবয়ন বন্ধ করিয়া দি-বন আর তাহারা বস্ত্ৰ বয়ম করিতে না পারে, তজ্জন্য তঁতিগণের, বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ কাটিয়া দিবেন, কেবল মুখের কথায় ঐ রূপ ভয় দেখান হইয়াছিল, তাহাও নয়, সত্য সত্যই তাহদের দৌরাত্ম্যে কয়েকজন ভঁাতির অঙ্গুষ্ঠচ্ছেদন করা হইয়াছিল। সেই কাপড়ের ব্যবসা এখন ম্যানচেষ্টারে চলিয়া গিয়াছে, এ দেশীয় আঁতিরা অল্পের নিমিত্ত হাহাকার করিতেছে। এক বৎসর যদি ম্যানচেষ্টার হস্ত বন্ধু করেন, তাহা হইলে এ দেশের লোককে উলঙ্গ থাকিতে হইবে। দ্বিতীয় দৃষ্টান্ত লবণ। সমুদ্রকুলের মৃত্তিকা খনন করিলে লবণ উখিত হইত, তৃণাদি ভস্ম করিলে লবণ পাওয়া যাইত, সেই লবণ এখন লিভারপুল