বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 S, বঙ্গ-গৌরব পরীক্ষায় সুবর্ণপদক লাভ করেন। প্রেসিডেন্সি কলেজেই তিনি বি. এ পড়েন। এই সময় হইতে বিজ্ঞানের উপর তঁহার প্রগাঢ় অনুরাগ আসিয়া পড়ে। ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে বি. এ. পরীক্ষায় বিজ্ঞানের অনার্সে প্রথম স্থান অধিকার করিয়া তিনি চল্লিশ টাকা বৃত্তি পান। তিনি ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানের এম. এ পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে সম্মানের সহিত উত্তীর্ণ হইয়া এক শত টাকার পুস্তক ও সুবর্ণ পদক পারিতোষিক লাভ করেন। পর বৎসর পদার্থবিদ্যায় ও রসায়ন শাস্ত্ৰে প্রেমচাঁদ বৃত্তির অধিকারী হন। রামেন্দ্রসুন্দরের কর্মজীবন ছিল শিক্ষা বিভাগে এবং শিক্ষকের কাৰ্যে, মাত্র বিজ্ঞানের বা রসায়নের পরীক্ষার গৃহেই তিনি তঁহার দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখিতেন না ; পরস্তু সভ্য মানবসমাজের অতীত ইতিহাসের গুপ্ত মর্মকথা বলিবার নানা ভাবে নানা চেষ্টা তিনি করিয়াছেন। জীবতত্ত্ব হইতে আরম্ভ করিয়া তিনি মিশর, হিব্রু, গ্রিক ও রোমক ইতিহাসের আলোচনা করিয়া ভারতের সভ্যতার সহিত তাহার সামঞ্জস্য বিধান করিতে বহু শ্ৰম স্বীকার করিয়াছেন। বাল্যকাল হইতে ইতিহাসে। তঁহার প্রবল অনুরাগ দেখিতে পাওয়া যাইত। প্রবেশিকা পরীক্ষা দিবার পূর্বেই তিনি গ্রিন, ২ হিউম, গিবন* ইত্যাদি শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিকের গ্রন্থ পড়িয়া ফেলিয়াছিলেন। আবার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সংস্কৃত ভাষাতেও অগাধ বুৎপত্তি লাভ করিবার সুযোগ লাভ করিয়াছিলেন। বিখ্যাত অধ্যাপক জানকীনাথ ভট্টাচার্য ও রামেন্দ্রসুন্দর একই সঙ্গে প্ৰবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। এই রাম-জানকীর অপূর্ব সম্মিলনে রিপন কলেজ ধন্য হয়। ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে রামেন্দ্রসুন্দর ঐ কলেজে অধ্যাপক ও পরে অধ্যক্ষ হন। ২৭ বৎসর অধ্যাপনার পর জানকীর হাতে কলেজের সমস্ত ভার অর্পণ করিয়া রাম মহাপ্ৰস্থান করেন। তঁহার প্রতিষ্ঠিত অধ্যাপকসঙঘ সাহিত্যের উৎস সৃষ্টি করিয়াছিলেন। দর্শন ছিল রামেন্দ্রসুন্দরের অতীব প্রিয বাখান বস্তু। সাহিত্য ও বিজ্ঞানের সেবা র্তাহার অফুরন্ত জ্ঞান-সম্পূহাকে তৃপ্ত করিতে পারিত না। সাংখ্যদর্শনের কাছে জার্মান দর্শনের ঋণ কতটা, রামেন্দ্রসুন্দর এ সম্বন্ধে দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর* মহাশয়ের সঙ্গে বহু আলোচনা করিয়াছিলেন। ক্রমে তিনি বেদান্ত ও উপনিষদের আলোচনা করেন। তঁহার একটি দার্শনিক প্ৰবন্ধ পরলোকগত অধ্যাপক নিখিলনাথ মৈত্র কর্তৃক জার্মান ভাষায় অনুদিত হইয়া জামানীর সর্বশ্রেষ্ঠ দার্শনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং তাঁহাতে সে দেশের দার্শনিক মহলে সাড়া পড়িয়া যায়। কিন্তু ৫৫ বৎসর বয়সে তাহার অকাল মৃত্যুতে এই শ্রেণির আলোচনা অধিক দূর অগ্রসর হইতে পারে নাই।* তিনি নানা বিষয়ে বহু প্ৰবন্ধ ও গ্রন্থ লিখিয়া গিয়াছেন। সাহিত্য সম্বন্ধে ভারতের শ্ৰেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান বঙ্গীয় সাহিত্য পবিষদের তিনি প্ৰাণস্বরূপ ছিলেন। প্রকৃত পক্ষে তিনি ošĩ è.è, S& Sề