বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৃপেন্দ্রনাথ সরকার እዪኃÇ) কৃষকদিগকে বর্ষায় জলে ভিজিয়া ও ম্যালেরিয়ায় ভুগিয়া পাট উৎপাদন করিতে হয়। অথচ সেই পাট বিদেশে রপ্তানি হইলে তাহার জন্য যে শুল্ক আদায় হয়, সেই শুঙ্কের টাকা ভারত গভর্নমেন্ট গ্রহণ করিয়া থাকেন। ঐ টাকা বাংলা গভর্নমেন্টকে দেওয়া হইলে বাংলা দেশে বহু প্রকার জনহিতকর কার্য সম্পাদিত হইতে পারে। স্যার নৃপেন্দ্রনাথ সরকারের চেষ্টায় পাট-গুষ্কের অর্ধেক টাকা এখন বাংলার গভর্নমেন্ট পাইতেছেন!! ঐরাপ বাংলা হইতে সংগৃহীত আয়করের টাকাও বাংলাকে পূর্বে দেওয়া হইত না; সমস্ত টাকাই পূর্বে কেন্দ্রীয় গভর্নমেন্টের তহবিলে জমা হইত। এখন নৃপেন্দ্রনাথের ব্যবস্থায় উহার একাংশ বাংলা পাইবে।” বাংলায় যাহাতে কৃষি ও শিল্পের উন্নতি বিধানের জন্য গভর্নমেন্ট আরও অধিক অর্থ ব্যয় করেন, সেজন্য নৃপেন্দ্রনাথের চেষ্টার ত্রুটি নাই। ভারতীয় কোম্পানি (লিমিটেড) গঠনের আইন ও ভারতীয় বীমা বিষয়ক আইনেরষ্ট বহু ত্রুটি থাকায় ভারতের জনসাধারণকে নানারূপ অসুবিধা ও ক্ষতি স্বীকার করিতে হইত। আইনের ব্যবসায় করার সময় স্যার নৃপেন্দ্রনাথ সে সকল ত্রুটির বিষয় অবগত হইয়াছিলেন। ভারত গভর্নমেন্টের আইন-সচিব নিযুক্ত হইয়া তিনি উক্ত উভয় আইনকেই ক্রটিশূন্য করিবার ব্যবস্থা করিয়াছেন। বাংলার মনীষীরাই এককালে সমগ্ৰ ভারতে প্রাধান্য ও প্রতিপত্তি ভোগ করিতেন। মধ্যে নানা কারণে ভারত গভর্নমেন্টের নিকট গুণী বাঙালিদের সম্মান কমিয়া গিয়াছিল। নৃপেন্দ্রনাথ সেই সম্মান পুনরায় অধিকার করিবার জন্য বহু কৃতবিদ্য ও বিশেষজ্ঞ বাঙালিকে সম্মানজনক পদ প্রদানের ব্যবস্থা করিয়া বাঙালি জাতির গৌরব বৃদ্ধি ব্যবস্থা করিয়াছেন। স্যার নৃপেন্দ্রনাথ সুদীর্ঘ জীবন লাভ করিয়া বাংলা দেশের ও বাঙালি জাতির মুখ উজ্জ্বল করিতে থাকুন, তাহার দেশবাসীর ইহাই ঐকাস্তিক প্রার্থনা।”

  • এই ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। * ইনি ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে পরলোকগমন করেন।