পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫి8 शांत्लॉग्न अश* * ཕ──ལ།བསམས་བྱམས་༢ অহিপাল নামে দুই পুত্র ছিল। হরিপাল সিংহপুর বা সিঙ্গুরের পশ্চিমে হাটবাজার ও দীঘি-সরোবর শোভিত একটি মহাগ্রাম স্থাপন করিয়া স্বীয় নামানুসারে উহার নাম “ হরিপাল ” রাখেন। এই হরিপালের কন্যা কানেড়ার বীরত্ব কাহিনী মাণিকরাম গাঙ্গুলী প্রণীত ধৰ্ম্মমঙ্গল কাব্যে বর্ণিত আছে। গৌড়েশ্বর ধর্মপাল কানেড়ার সৌন্দর্য্য ও সাহসের খ্যাতি শুনিয়া তাঁহাকে পত্নীরূপে লাভ করিবার জন্য হরিপালের নিকট ভাট প্রেরণ করেন। গৌড়েশ্বরের প্রতাপে ভীত হরিপাল তাঁহাকে কন্যাদানে সম্মত থাকিলেও কানেড়া এই বিবাহে অসম্মত হন। ধৰ্ম্মপালের তরুণ সেনাপতি মহাবীর লাউসেনের বীরত্বের কাহিনী শুনিয়া কানেড়া মনে মনে তাঁহাকে পতিত্বে বরণ করিয়াছিলেন। সুতরাং তিনি ভাটকে অপমান করিয়া বিদায় করিয়া দেন। ক্রুদ্ধ গৌড়েশ্বর সসৈন্যে সিমুল বা হরিপাল আক্রমণ করিলে পুরবাসীসহ রাজা হরিপাল দূরে পলায়ন করেন। একমাত্র দাসী ধুমসীকে সঙ্গে লইয়া বীরবালা কানেড় রণসাজে সজ্জিত হইয়া গৌড় সেনাবাহিনীর সম্মুখবর্তী হইলেন। তাহার অপূৰ্বর্ব রণসজ্জা দেখিয়া গোঁড়াধিপের সৈন্যগণ অস্ত্র সংবরণ করিল। তখন সম্মুখবর্তী বৃদ্ধ গৌড়েশ্বর ধৰ্ম্মপালকে সম্বোধন করিয়া কানেড়া বলিলেন যে তাহার একটি পণ আছে যে, যে ব্যক্তি তরবারির একচোটে একটি লৌহ নিৰ্ম্মিত গণ্ডারকে দ্বিখণ্ডিত করিতে পারিবে তাঁহাকেই তিনি পতিত্বে বরণ করবেন। এই দুষ্কর কার্য্য স্বীয় শক্তির সাধ্য নহে বিবেচনা করিয়া গৌড়েশ্বর গৌড় হইতে সেনাপতি লাউসেনকে সংবাদ দিয়া আনয়ন করিলেন। ধৰ্ম্মের বরপুত্র লাউসেন তরবারির একচোটে লৌহ গণ্ডারকে দ্বিখণ্ডিত করিয়া ফেলিলেন। তাহার কণেঠ বরমাল্য প্রদানে উদ্যতা রাজপুত্রীকে বলিলেন যে তাহার প্রভু গৌড়েশ্বরের আদেশক্রমেই তিনি এই দুষ্কর কার্য্য সাধন করিয়াছেন, সুতরাং কানেড়ার বরমাল্য ধৰ্ম্মপালের কণেঠই শোভা পাওয়া উচিত। কানেড়া তাহার এই যুক্তি না শুনিয়া তাহাকেই পতিত্বে বরণ করিলেন। তারকেশ্বর—হাওড়া হইতে ৩৬ মাইল দূর । বাংলাদেশে একমাত্র চন্দ্রনাথ ছাড়া তারকেশ্বরের ন্যায় বিখ্যাত শৈবতীর্থ আর নাই। তারকনাথ শিব স্বয়ম্ভলিঙ্গ বলিয়া প্রসিদ্ধ। যে স্থানে বর্তমান মন্দিরটি অবস্থিত, পবেব উহা জঙ্গলে আবৃত ছিল এবং উহার চতুদিকের নিম্নভূমি নল ও খাগড়ায় পূর্ণ ছিল। উচচ ভূভাগ সিংহলদ্বীপ নামে পরিচিত ছিল। এই দ্বীপের অরণ্যমধ্যে পাষাণময় তারকনাথ বিরাজিত ছিলেন। কথিত আছে, গ্রাম্য স্ত্রীগণ শিবলিঙ্গকে সামান্য পাষাণখণ্ডজ্ঞানে উহার উপর ধান ভানিত । ইহার ফলে শিবলিঙ্গের উপরিভাগে একটি গর্ত হইয়া যায়। এই গৰ্ত্ত আজও তারকনাথের মাথায় দেখিতে পাওয়া যায়। তারকনাথের প্রকাশ সম্বন্ধে কথিত আছে যে মুকুন্দ ঘোষ নামক জনৈক গোপ একদিন সবিসময়ে দেখিতে পায় যে তাহার একটি দুগ্ধবতী গাভী জঙ্গলমধ্যে একখণ্ড পাষাণের উপর দুগ্ধবর্ষণ করিতেছে। সেইদিন রাত্রিকালে তারকনাথদেব স্বপুযোগে মুকুন্দ ঘোষকে নিজের স্বরূপ পরিচয় প্রদান করেন এবং তাহাকে বলেন সে যেন সন্ন্যাসী হইয় তাহার সেবায় আত্মনিয়োগ করে। মুকুন্দ ঘোষ হইতেই তারকনাথের প্রথম প্রকাশ এবং এবং মুকুন্দই তাহার প্রথম সেবক। তারকনাথের মন্দিরের পাশ্বে মুকুন্দ ঘোষের সমাধি বিরাজিত আছে। যাত্রিগণ এই স্থানেও পূজা দিয়া থাকেন। হুগলী জেলার বাহিরগড়ের ক্ষত্রিয় রাজবংশীয় রাজা ভারামন্ত্র বা বরাহমল্ল মুকুন্দ ঘোষের আবিষ্কৃত তারকনাথের মন্দির নির্মাণ করিয়া দেন। রাজা ভারামন্ত্র সংসার ত্যাগ করিয়া তারকনাথের সেবায় আত্মনিয়োগ করেন এবং তাঁহার পূজার জন্য সন্ন্যাসী মহাস্ত নিযুক্ত করেন। তারকেশ্বরের নিকটবৰ্ত্তী ভারামলপুর গ্রাম আজও এই ত্যাগী নৃপতির । সমৃতি বহন করিতেছে। ভারামল্লের পর বর্দ্ধমানরাজও স্বপুর্দিষ্ট হইয়া একটি মন্দির নির্মাণ করিয়া দেন এবং দেবসেবার জন্য বহু ভূসম্পত্তি দান করেন। এই প্রকার দানের ফলে তারকনাথদেবের