পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ব ভারত রেলপথে 然俊 বহু ভূসম্পত্তি হয়। মুকুন্দ ঘোষের পর দশনামী সম্প্রদায়ভক্ত “গিরি” উপাধিধারী সন্ন্যাসীগণ রেকেয়ূরের মোহান্তের পদ লাভ করেন। সম্প্রতি পশ্চিম দেশীয় এই মোহান্ত সম্প্রদায়কে অপসারিত করিয়া দৰ্ত্তীস্বামী জগন্নাথ আশ্রম মহারাজ নামক জনৈক বাঙালী সন্ন্যাসীকে মোহাস্তের পদে প্রতিষ্ঠিত করা হইয়াছে ! তারকনাথের মন্দিরের পাশে দুধ পুকুর নামে একটি পুষ্করিণী আছে। এই পুকুরে স্নান করিয়৷ যাত্রিগণ তারকনাথের দর্শন ও পূজা করিয়া থাকেন। নিকটেই অপর একটি মন্দিরে দশভূজা দেবী বিরাজিত আছেন। মন্দিরের সম্মুখস্থ নাটমন্দিরে মনস্কাষন পূর্ণ ও রোগমুক্তির আশায় বহু নরনারীকে ধর্ণ দিতে দেখা যায়। তারকেশ্বর তীর্থে পূবেব যে সকল অনাচার ছিল তাহা এখন দূরীভূত হইয়াছে। এই স্থানকে এখন একটি আদর্শ তীর্থ বলিলেও অত্যক্তি হয় না । বাঁধানো রাস্তা, নলকূপের জল, উজ্জ্বল আলো প্রভৃতির ব্যবস্থা থাকায় যাত্রীদের আর কোন প্রকার অসুবিধা ভোগ করিতে হয় না। এখানে একটি ধৰ্ম্মশালা ও পাণ্ডাদের দ্বারা পরিচালিত বহু যাত্রীনিবাস আছে। তারকেশ্বরে প্রত্যহ বহু যাত্রীর সমাগম হয়, তবে সবর্বাপেক্ষা অধিক জনতা হয় শিবরাত্রি ও চৈত্র সংক্রাস্তির সময়। এই উপলক্ষে প্রায় লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ হয়। তারকেশ্বর একটি জংশন স্টেশন। এখান হইতে বঙ্গীয় প্রাদেশিক রেলপথের ছোট গাড়ীতে করিয়া হুগলী জেলার অন্তর্গত দশঘরা, ধনিয়াখালি, মগর প্রভৃতি হইয়া গঙ্গাতীরবর্তী ত্রিবেণী পৰ্য্যন্ত যাওয়া যায়। দশঘরা হইতে অপর একটি শাখা লাইন বৰ্দ্ধমান জেলার অন্তর্গত চকদীঘি ও জামালপুরগঞ্জ পর্য্যন্ত গিয়াছে।