পাতা:বোধমুক্তাবলি (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গদ্য লক্ষণ । যথা—যাহার পাদ নাই এবং পদ বিস্তার বিরহ (অর্থাৎ ছন্দো রহিত বাক্য বা পাদকৃত বিচ্ছেদশূন্য ) রচনাকেই গদ্য বলা যায়। তাহ। লক্ষণাত্রয় ভেদে বিভাজিত যথা-চুর্ণক, উৎকলিক, বৃত্তগন্ধি। * প্রথম চুৰ্ণক লক্ষণ। কঠিন অক্ষরহীন স্বল্প সমাস যুক্ত বৈদন্তী রীতি সুমনোহর বাক্যই গদ্য । উৎকলিকা যথা— বহুসমাসাত্মক কঠিনাক্ষর যুক্ত যে গদ্য তাহার নাম উৎকালক । বৃত্ত গন্ধি যথা—বৃত্ত অর্থাৎ চতুষ্পাদ বিশিষ্ট যাহাকে বলা যায় তা হার একদেশ অর্থাৎ এক পাদ বা দ্বিপদ পৰ্য্যন্ত যে গদ্য থাকে তাহার নামই বৃত্ত গন্ধি । পদ্য লক্ষণ । যথ । চতুষ্পদ বিশিষ্ট কবিতাকেই পদ্য বলা যায়, তাহা বৃত্ত এবং জাতি দ্বারা প্রকার ভেদৰূপে দুই ভাগে বিভক্ত ৷ বৃত্ত, অক্ষর সংখ্যাকে বলাযায় । জাতি মাত্রাকে বলাষায় । ঐ বৃত্ত সমৰ্বত্ত, অৰ্দ্ধসমবৃত্ত বিষমবৃত্ত, সংজ্ঞাত্রয়ে প্রভেদ,তাহার লক্ষণ যথা—সমানৰূপে চারি ভাগ বিশিষ্ট যে পদ তাহার নাম সমবৃত্ত, এরং যাহার প্রথম পাদ তৃতীয় পাদের তুল্য, আর চতুর্থ পাদ দ্বিতীয় পাদের তুল্য, তাহাকে অৰ্দ্ধ সমৰ্বত্ত বলাফায়, এতদ্ভিন্ন চিহ্নেচিন্ধিত চতুষ্পাদকে বিষম বলা যায়। পরন্তু এক্ষণে মাত্রার লক্ষণ উক্ত হইতেছে যথা । পরিচ্ছেদ অর্থাৎ সীমা বিশিষ্টের নামই মাত্র। এতাবতা সংখ্যা বিশিষ্ট অক্ষর ভাগকেই কাব্যাঙ্গীয় মাত্রা মন্তব্য।