পাতা:বোধমুক্তাবলি (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ১৮৪ } রচনা পদ্ধতি । গদ্য প দ্য প্রবন্ধ রচনাতে ষতই কোমল সরল শব্দ ব্যবহৃত হয় ততই কাব্যের উত্তমতা প্রদর্শন হয় বিশেষতঃ পদ্য রচনা করিতে হইলে অত্যন্ত সাবধানতাসহ স্পষ্ট অর্থ রস মিল অভিপ্রায়াদি সংরক্ষণে এবং ভাষা শ্রবণ মাত্রই যেন পাঠক ও শ্রোতৃগণের অন্তঃকরণে হঠাৎ কাব্যের ভাবের আবির্ভাব হইয়া শ্রবণের ও মনের মহান উল্লাস উৎপাদন করে তেমনি সুকোমল ভাষা প্রযোগ কর কবিগণের পক্ষে নিতান্ত কৰ্ত্তব্য, এবং যুক্তাক্ষর ও কঠিন শব্দ করুণাদিরসে প্রয়োগ করিলে তত্তৎরস সরস হয় না, তেমত বীর রসাদিতে তদ্বর্জিত হইলে শ্রুতি সুখ কর মিষ্ট বোধ হয় না ; সুতরাং রচনা কালে তৎপ্রতিও দৃষ্টি রাখা কবিগণের সমুচিত হইবেক । অপিচ গদ্য পদ্য রচনার অনুপ্রাস শব্দ যোজন পূৰ্ব্বক অনুষ্ঠিত ভাব রক্ষা করিয়া রচনা করাই সৰ্ব্বতে ভাবে চারু বটে কিন্তু অনুপ্রাসের অনু রোধে রচনার তনু বিস্তার ও স্বভাবের অভাব ঘটনায় সম্ভাবনা বিবেচনায় গুণ গ্রাহক সদ্বিবেচক কাব্যরচক মহাত্মাগণ কেবল সালঙ্কার ভাব ও রস যুক্ত সাধু কোমল ভাষা ঘটিত রচিত প্রবন্ধাদিকেই সুরচনা মান্যমান করেন এতাবত আমিও তন্মতে সম্মত বটি, তবে লিথিতে লিখিতে বিনা যত্নে য়ে যে স্থলে যমক শব্দ বিনাসিত হয় হইল হইল তা হাকেও ভ্যাগ করা অকৰ্ত্তব্য, কেনন। তত্তৎশব্দ অত্যন্ত সুমধুর স্বশ্ৰাব্য হুইয়া থাকে। অত: এব গদ্যপদ্য বৃচনার প্রণালী পদ্ধতি অনেকাংশ বর্জন পুরং, সর বঙ্গ ভাষায় ভাষিত রচনা যে যে গুণে ভূমিত ও যে যে