Y48 ব্ৰহ্মাণ্ডপুরাণ উত্তর অস্তার্থঃ। স্বৰূপ তত্ত্ব গুগুকরিয়া প্রাকৃত ভীতিযুক্ত বালককে যেমন মাতা পিতায় আশ্বাস করে, সেই ৰূপ রাজা বৃষভানু রাধাকে নিজাঙ্কে লইয়া আশ্বাস করিতেলাগিলেন । বৎসে ! তুমি অতিত্ৰাস যুক্ত ব্যস্ত সমস্ত, সংকুচিতকলেবর ভীতার ন্যায় দীর্ঘনিঃশ্বাস পরিত্যাগপূর্বক ইতস্তত অবলোকন কেন করিতেছ। মাতঃ ! ভয়নাই ভয়নাই, আমার ক্রোড়ে আছ তোমার কি ভয় ? এই আশ্বাস বাক্যে সেই অনিন্দিতা কন্যাকে বহুশঃ সান্থনা করিতে লাগিলেন । ৩৭ ৷৷ এবমাশ্বাস্য তাং বালাং বৃষভানু মহাযশী । ব্রাহ্মণৈ বেদবিদ্বদ্ভিঃ পুণ্যেস্বায়তনেষু সঃ। দেবীমভ্যর্চয়া মাস জগন্মাতর মস্বিকাং। সৰ্ব্বলোক শ্রেয়স্কৰ্য্যাঃ শ্রেয়ক্ষামো মহামনাঃ ।। ৩৮ ৷৷ ৩৯ ৷৷ অস্যার্থঃ। মহাযশস্বী মহামতি রাজা বৃষভানু আপনকন্যাকে এই প্রকার আশ্বাস করতঃ অনন্তর আত্ম কল্যাণ কামী হইয়! সৰ্ব্বলোকের কল্যাণ কারিণী মহাদেবীর অধিষ্ঠিত পুণ্যতমালয়ে গিয়া বেদবিং ব্রাহ্মণ দিগের দ্বারা জগন্মাতা অস্বিকাকে বিবিধোপচারে গাঢ় ভক্তির অনুসারে অর্চনা করিলেন। ৩৮ ৷৷ ৩৯ ৷৷ অথ রস্তার শাপ বৃত্তান্ত কথন । আঙ্গির উবাচ । নাথ তেম্মান্নমু গ্রাহ মস্তীত্যেবোপলক্ষয়ে । শপ্ত রন্তাপসরাঃ পুৰ্ব্বং কেন দুৰ্ব্বাসসান্দ্রজ ।। ৪০ ৷৷ অস্ত্যার্থঃ । অঙ্গিরা বিনত কন্ধরে পিতামহ ব্ৰহ্মাকে জিজ্ঞাস কfরলেন । হেনাথ ! হে পদ্মযোনে ! বিলক্ষণ অনুমান হইতেছে, যে আপনার কর্তৃক আমরা অনুগ্রহীত হইয়াছি। অতএব জিজ্ঞাসা করিতেছি, কি কারণে পুৰ্ব্বে দুৰ্ব্বাস বরাপসরা রস্তাকে অভিশাপ দিয়াছিলেন ? I ৪০। কারণং তত্রনো ক্ৰহি গরীয়ে ভাতি নোমনঃ ।। ৪১ ৷৷ অস্ত্যার্থঃ। হে ব্ৰহ্মন । তৎকারণ জানিতে আমাদিগের মনের অত্যন্ত আগ্ৰহত। জন্মিয়াছে, অতএব আপনি অনুগ্রহ প্রকাশে তাহা বিস্তার করিয়া কহেন । ৪১ ৷৷ ব্রহ্মোবাচ । , একদা নন্দনে রম্যে কম্পদ্রু শত বেষ্টিতে । সৰ্ব্বৰ্ত্ত, ফলপুষ্পাঢ্যে নানা গুণ সমন্বিতে ।। ৪২ ৷৷
