পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৪৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করলেম। কালে সেটী তিরোহিত হবে আশা করেছিলেম, কিন্তু দিন দিন কলকেতায় বিষ পান করতে লাগলেম, আমার শরীর, মন, আত্মা জজরিত হল। বিন্দ দিদি, তুমি সরল হৃদয়ে আসতে দিতেন, আমি হৃদয়ে কালকট ধারণ করে, পাপচিন্তা ধারণ করে, দিনে দিনে এই পবিত্র সংসারে আসতেম। জগদীশ্বর এ মহাপাপ, এ মহা প্রতারণা কি ক্ষমা করবেন ? বিন্দ দিদি, তুমি কি ক্ষমা করবে ? সাধার পীড়ার পর যখন প্রত্যহ তাকে সান্থনা করতে আসতেম, অনেকক্ষণ বসে দুইজনে গল্প করতেম, অথবা আকাশের তারা গণতেম, তখন আমি জ্ঞানশন্যে হয়ে যে কি পাপচিন্তা করতেম, বিন্দরদিদি, তোমাকে কি বলব! আমার বিবাহ হবে, একটী সংসার হবে, লাবণ্যময়ী সন্ধা সে সংসারে রাজ্ঞী হবে, আমার জীবন সন্ধাময় করবে, এই চিন্তা আমাকে পণ করত, এই চিন্তা আকাশের নক্ষত্রে পাঠ করতেম, এই চিন্তা বায়র শব্দে শ্রবণ করতেম। প্রত্যহ আসতে আসতে আমি প্রায় জ্ঞানশন্য হতেম, তখন হেমবাব আমার পাঠের ব্যাঘাত হচ্ছে বলে একদিন কয়েকটী উপদেশ দিলেন। তখন আমার জ্ঞান হইল, পাঠ্য পুস্তক ও পরীক্ষা চিতার আগমনে দগ্ধ হক, কিন্তু যে উৎকট বিপদে আমি পড়েছি, পাছে সরলচিত্তা সন্ধা সেই বিপদে পড়ে, এই ভয় সহসা আমার হৃদয়ে জাগরিত হল, আমি সেই অবধি এ পণ্য-সংসার ত্যাগ করলেম। সন্ধাকে না দেখে আমিও তার চিন্তা ভুলব মনে করেছিলেম, কিন্তু সে ব্যথা আশা ! বিন্দ-দিদি, সে পাপ চিন্তা ভুলবার জন্যে আমি দুই মাস অবধি প্রাণপণে চেস্টা করেছি, কিন্তু সে ব্যথা চেস্টা নদীর স্রোত হস্ত দ্বারা রোধ করবার চেস্টার ন্যায় ! আমি পাঠে মন রত করতে চেন্টা করেছি, নাট্যশালায় গিয়ে সে চিন্তা ভুলতে চেস্টা করেছি, আমার সহপাঠীদিগের সহিত মিশেছি, গীতবাদ্য শনতে গিয়েছি, কিন্তু সে কালচিস্তা ভুলতে পারিনি। ঘরের দেয়ালে, নৈশ আকাশে, আমার প্রস্তকের পংক্তিতে পংক্তিতে, སྨད་སྤྲུལ་སྣང་ཙམ།། বিন্দরদিদি, এ দুই মাসের কথা আর বলবে না, পথের কাঙ্গালীও আমা অপেক্ষা সখা । বিন্দরদিদি, আমার মনের কথা তোমাকে বল্লেম, আমাকে ঘৃণা করো না, আমাকে মহাপাপী বলে দরে করে দিও না। আমি পাপিষ্ঠ, কিন্তু তুমি ঘণা করলে এ জগতে কে আমাকে একটা কু কুলে আমাক ন ন আনা দলে ল অফ দি নানা তি গল । বিন্দ স্থির হইয়া কথাগুলি শুনিলেন, কি উত্তর দিবেন ? শরতের প্রস্তাব পাগলের প্রস্তাব, কিন্তু সে কথা বলিলে হয়ত এই ক্ষিপ্তপ্রায় যবেক আজই আত্মঘাতী হইবে। বিন্দ ধীরে ধীরে শরতের চক্ষর জল মছাইয়া দিয়া বলিলেন,–ছি শরৎবাবু, আপনাকে এমন করে ক্লেশ দিও না, আপনাকে ধিক্কার করো না। তোমাকে ছেলেবেলা থেকে আমি ভাইয়ের মত মনে করি, তোমাকে কি আমি ঘণা করতে পারি? এতে ঘণার কথা ত কিছুই নেই, কেন আপনাকে মহাপাপী বলে ধিক্কার করছ? তবে বিধবা বিবাহ আমাদের সমাজে চলন নেই, তা এরপে বিবাহ হয় কি না বাবকে জিজ্ঞাসা করব, যা হয় তিনি ব্যবস্থা করবেন। তা তুমি আপনাকে এরপে ক্লেশ দিও না, তোমার এ কথায় বাবরে যাই মত হক না কেন, তোমার প্রতি আমাদের স্নেহ এ তিরোহিত হবে না। শরৎ। বিন্দ দিদি, তোমার মাখে পাপচন্দন পড়কে, তুমি আমাকে যে এই দয়া করলে, আমাকে যে আজ ঘণা করে তাড়িয়ে দিলে না, এ দয়া আমি জীবন থাকতে বিসমত হব না । বিন্দ। শরৎবাব, তোমার বোধ হয় আজ রাত্রিতে এখনও খাওয়াদাওয়া হয়নি, কিছ: খাবে? একটা মখটক ধোও না ? বাবর জন্যে আজ লাচি করেছিলেম, তার খান কত আছে। একটী সন্দেশ দিয়ে খাবে ? শরৎ। না দিদি, আজ কিছু খাব না, খাদ্যে আমার রচি নেই। বিন্দ। তবে কাল সকলে একবার এস, বাবর সঙ্গে এ বিষয়ে পরামর্শ করো। শরৎ। ক্ষমা কর, এ বিষয়ে হেমবাব যা বলেন, আমাকে বলো, তার পাবে আমি হেমবাবর কাছে মুখ দেখাতে পারব না। ○ ふcl