পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এইরূপ চাদর ডান হাতের নীচে দিয়া ও বা কাধের উপর দিয়া পরিতে হইত। এই চাদর এই ভাবে না পরিয়া অন্তভাবে পরিলে উহাকে অন্ত অল্প নাম দেওয়৷ ইহঁত। উপনয়ন সংস্কারের সময় উপবীত ধারণ করিতে হইত। শুধু উপনয়নের সময় নয়, যজ্ঞ ও বেদপাঠ করিতে, গুরু ও অতিথির কাছে যাইতে, আচার করিবার সময় ও আচমন করিবার সময় উপবীত ধারণ করিবার নিয়ম ছিল । ব্রাহ্মণব্রহ্মচারীর উপবীক্ত কৃষ্ণসার নামক হরিণের চামড়া বা কাপাস স্বত্রের, ক্ষত্রিয়-লক্ষচারীর উপবীত ধ্ৰুরু নামক মৃগের চামড়া বা শণ-স্বত্রের, এবং বৈহু-ব্রহ্মচারীর উপবীত ছাগচৰ্ম্ম বা ভেড়ার লোমের হইত। কোন কোন সময়ে গরুর চামড়া ব্যবহার করা হইত। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে কম্বলও চলিত ছিল। কালক্রমে ভারতবর্ষের মত গরম দেশে চন্ম, বক্স বা কম্বল চাদব রূপে সকল শুভকৰ্ম্মে সন্মদা ব্যবহার করা .বাধহয় অসুবিধাজনক মনে হয় । সেইজন্স পরবত্তীযুগে স্থত দ্বার। উপবীত নিৰ্ম্মিত হইতে থাকে। এইরূপে চাদর ক্রমে পৈতায় পরিণত হয় । এই সময়ে পৈতা কুশ, শণ, গরুর লেজের লোম, গাছের ছাল বা অঙ্ক কোন জিনিষ দিয়াও তৈয়ারী হইত। উপনয়ন পিতৃগৃহে প্রাথমিক শিক্ষালাভ করিবার পর আচার্গোর নিকট হইতে বেদশিক্ষা করিবার পূৰ্ব্বে যে সংস্কারের নিয়ম ছিল, তাছার নাম উপনয়ন , ইছার অর্থ "নিকটে গইয়া যাওয়া, অর্থাৎ শিক্ষার জন্ত গুরুর কাছে প্রেরণ করা। এই উপনয়ন না হইলে কাছারও বেদপাঠ করিবার অধিকার জন্মিত না । এই অনুজ্ঞানের এত গৌরব ছিল যে, ইহাকে দ্বিতীয় জন্ম বা ব্ৰহ্মজন্ম বলা হইত। মানুষের জন্ম পশু-পক্ষীর মতই সাধারণ ব্যাপার, কিন্তু শাস্ত্রপাঠ দ্বারা মানুষের যে জ্ঞানের সঞ্চার হয়, তাহাতে সে যেন নুতন করিয়া জন্মলাভ করে। কেননা শরীরের জরা ও মরণ আছে, কিন্তু জ্ঞানের জরা বা মরণ নাই। অতি প্রাচীনকালে শিষ্যগণ আচার্য্যের কাছে গিয়া মুখে বলিতেন,-“আমি উপনীত হইলাম’। তাহাতেই আচার্যোরা তাহাদিগকে পড়াইতেন। অতি প্রাচীন কোন গ্রন্থে উপনয়নের কথা পাওয়া যায় না। ইহা পরে প্রবর্তিত হয় এবং কালক্রমে ইহার বিস্তৃত পদ্ধতি গড়িয়া উঠে। অথৰ্ব্বৰেদ ও শতপথ ব্রাহ্মণ - - ]--------- ७eाष्नैञ्प छान्झटप्छन्द्व -िकन्का-टिञ्ज्मू-क़ा = নামৰ গুস্থে হহার প্রথম পরিচয় পাওয়া যায়। পরিণত অবস্থায় যে অঙ্গুষ্ঠান গড়িয়া উঠিয়ছিল তাহাতে বেশ একটু গাম্ভীর্য আছে, তাহাতে বিস্কারম্ভের পুৰ্ব্বমুহূত্তে শিষ্যের মনে তাহার নুতন জীবনের কন্ম ও দায়িত্ব সম্বন্ধে একটি মহত্বপূর্ণ ধারণা জন্মিত ; এবং ইছার ছাপ তাছার পরবর্তী কন্ম ও জীবনের উপরেও পতিত হইত। অতি অল্প বয়সেই উপনয়ন দিবার নিয়ম ছিল। ব্রাহ্মণের চার, ক্ষত্রিয়ের পাঁচ ও বৈস্তের সাত বৎসরের সময় উপনয়ন দিবার রীতি ছিল, তবে কোন কারণে না হইলে পরেও হইতে পারিত। কিন্তু উপনয়ন না হইলে সমাজে নিন্দিত হইতে হইত, এমন কি পতিত বলিয়া লোকে ঘৃণা করিত। উপনয়নের দিন বালককে অতি ভোর বেলায় উঠিতে হইত। তারপর তাছাকে কিছু থাইতে দেওয়া ইহঁত, তাহার চুল পরিপাটি করিয়া দেওয়া ইষ্টত, স্নান করান হহত, অলঙ্কার এবং নুতন বস্ত্র পরান হইত। তাহাকে আচার্য্যের কাছে লইয়। গেলে তিনি প্রথমত; অগ্নির উদেখে মন্ত্র পাঠ করিতেন । বালক অগ্নিকুণ্ডের উত্তরপশ্চিম দিকে চাহিয়৷ হাত অঞ্জলিবদ্ধ করিয়া দাড়াহত ; আর আচাৰ্য্য ও ছাত অঞ্জলিবদ্ধ করিয়া বালকের হাতের উপরে রাখিতেন। আর এক জন শাস্ত্ৰজ্ঞ ব্রাহ্মণ অগ্নিকুণ্ডের দক্ষিণ দিকে দাড়াইতেন এবং তিনি অlচার্য্যের অঞ্জলিবন্ধ হাতে জল ঢালিয়া দিতেন। শিষ্য গুরুর দিকে চাহিয়া থাকত, এবং গুরু TBBK Kg gJBBB BBBBSB BBSDS0 SBSBBB আসিয়াছে তাহার শান্তি হউক ।" হঙ্কার পর গুরু শিষ্যকে এক নূতন নাম দিতেন, অভিবাদন করিবার সময় এই নাম উচ্চারণ করিতে হইত। আচার্যোর অঞ্জলিৰদ্ধ হাত ছইতে জল শিয্যের অঞ্জলিতে দেওয়া হইত। তাছার পর আচাৰ্য্য নিজ হাতের মধ্যে শিৰ্যের হাত লইয়া মন্ত্র পাঠ করিতেন। আচাৰ্য্য শিষ্যকে বলিতেন—“হুর্য্যের গতি অমুসরণ কর,তিনি তোমাকে ৰাম হইতে দক্ষিণ দিকে চালাইবেন।” শিস্য অগ্নিকুণ্ড প্রদক্ষিণ করিতে থাকে এবং গুরু এই কথা বলিতে থাকেন—“আমরা যেন শাস্তিত্তে বিচরণ করি ; এ (শিষা) যেন শাস্তিতে বিচরণ করে, গৃহে फिब्रिग्रा ना यांeब्रl *र्वाख 4 cपन *ांक्षिप्ठ दिछद्रকরে।” গুরুর বচন অনুসারে শিষ্ণ ৰলিত—“আমি শিষ্য হুইৰার জন্তু এখানে আলিয়াছি। অামাকে দীক্ষা দিন ।” এই সময় হইতে বালককে ব্রহ্মচারী ৰল ՏՓԽ :