পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Iロlー খাপ্তনালীর দ্বার। এই দুইটি ছিদ্র কাছাকাছি পাকা সঙ্গে ও খাদ্ধ, খাদ্যনালীর দ্বার দিয়াই যায় এবং কখনও শ্বাসনালীতে প্রবেশ করে না । কেন করে না ? এখানেই বুঝিতে পরিবে, কি আশ্চর্য কৌশলে ঈশ্বর আমাদের এই দেহযন্ত্রগুলি স্বষ্টি করিয়া ছেন। শ্বাসনালীর স্বারে মাংসপেশীর একটি ছোট ৮। কণী আছে । তাছার নাম আলজিব। খাদ্য যখন শ্বাসনালীর উপরদিয়া পশ্চাতে খাদ্যনালীর দিকে যায়, তখন ঐ আলজিব শ্বাসনালীর ছিদ্র বন্ধ করিয়া রাখে। এই জন্যই খাদ্য শ্বাসনলীতে বা ফুসফুসে মাইতে পাপে না । খাদ্য অলজিবের উপর দিয়া ভিতলে চলিয়া যাইবার পর আলজিব সরিয়া গিয়৷ আবার শ্বাসনালীর দ্বার খুলিয়া দেয়। আলজিব সুfদ শ্বাসনালীর দ্বাৰ বন্ধ করিয়া থাকিত, তাহ ৮ চলে বায়, ফুসফুসে প্রবেশই করিতে পারিত না। এপন কি ভাবে খাদ্য, খাদ্যনালীর ভিতর দিয়। পাকস্থলীতে প্রবেশ করে, তাই বলিতেছি । খাদানালী।"sophagus) কতকগুলি গোলাকার মাংসপেশী দ্বার। বেষ্টিত। যেমন খাদ্যনালীর মধ্যে খাদ্য আসে, অমনি থাদানালীর প্রথম মাংসপেশী সঙ্কুচিত কহয়। চাপ দিয়া খাদাকে নীচের দিকে ঠেলিয়। দয়, তাহাব পরে ঐরুপ দ্বিতীয় মাংসপেশীও সঙ্কুচিত পাঞ্চ স্থলী হইয়া আবার চাপ দিয়া খাদ্যকে আর একটু নাচে ঠেলিয়া দেয়। এই ভাবে অবশেষে খাদ্য পাকস্থলীতে গিয়া পৌছে। পাকস্থলীর (Sumach) পেশীর ভাগ ফুসফুসের নীচে বামদিকে অবস্থিত। ইছ দেখিতে একটা বড় পোলের মত। ইহাতে প্রায়ু দুই সের পরিমাণ জল ধরে। পাকস্থলী মাংসপেশী দিয়া নিৰ্ম্মিত। এই 》> とbr - f-s-æt="= ----- মাংসপেশী, হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশীর স্থায় আপনা হইতেই সঙ্কুচিত ও প্রসারিত হইয়া থাকে । পাকস্থলীর ভিতর দিকে সৰ্ব্বদা অনেকগুলি রসপূর্ণ থলি ((iland) থাকে। আমরা মুখের ভিতর কোন খাদ্য গ্রহণ করিলে যেমন লাল বাহির হইয়া মুখের মধ্যস্থিত খাদ্যের সহিত মিশ্রিত হয়, সেইরূপ পাকস্থলীতে যখন কোন খাদা আসে তখন পাকস্থলীর ভিতরকার থলিগুলি হইতে রস বাহির হইয়া খাদ্যদ্রব্যের সহিত মিশে । খাদ্য, পাকস্থলীতে প্রবেশ করিলে উহার একদিকের ংসপেশী সঙ্কুচিত হইয়া চাপদিয়া খাদাকে অন্যদিকে পাঠাইয়া দেয়। তখন আবার অপরদিকের মাংসপেশী সঙ্কুচিত হইয়া চাপ দিয়া খাদাকে আবার সেই প্রথম দিকে ঠেলিয়া দেয় । এই ভাবে ক্রমাগত সঞ্চালন ক্রিয় চলিতে থাকে। এক্টরূপে ক্রমাগত সঞ্চালন ক্রিয়া দ্বারা গাদা দ্রব্য চুণ হইয়া মণ্ডের মত তরল হয়। তখন দেপিতে উহার রং হয় হলুদের মত । নুত, তেল, মাখন প্রভূতি বর্তীত হুইদের অধিকাংশ গাদা পাকস্থলীর মধ্যস্থ রসপূর্ণ থলে (Glaud) পদার্থই পাকস্থলীর রসে তরল হুইয়। স্বায় । তরল হুইবার পর পাকস্থলীর ভিতর চুলের মত যে পাতলা রক্ত-প্রণালী আছে, তাছা, উহার ভিতরকার তরল খাদাকে চুধিয়া লয় এবং উহা দেহের সব্বত্র ছড়াইয়া দেয় এবং ক্ষয় প্রাপ্ত মাংসপেশীর অভাব পূর্ণ করে। পাকস্থলীর ভিতর মণ্ডের স্তায় যে সমস্ত পাদ্যাবশিষ্ট পড়িয়া রহিল, তাতার অধিকাংশই হইতেছে