পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সৌন্দর্য্য-তত্ত্ব
১০৫

জননীরূপে, সেবাপরায়ণা দুহিতারূপে, অনুরাগের প্রস্রবণ দয়িতারূপে, নারীকে দেখিতে পাই। কি ধনীর রম্য হর্ম্ম, কি দরিদ্রের পর্ণকুটীর, কি নগর, কি গ্রাম, কি বন, সর্ব্বত্রই নারীর পবিত্র সেবা-হস্ত; সকল স্থানই নারী-প্রেমের অপূর্ব্ব সৌন্দর্য্যে ভূষিত হইয়া রহিয়াছে!

 এই সৌন্দর্য্য বিশ্ব-প্রেমে উজ্জ্বল হইয়া উঠিলে তাহা প্রকৃতই অতুল্য। ভগবদ্ভক্তিতে তাহার পূর্ণতা সম্পাদিত হয়।

 যখন মহর্ষি ঈশা ক্রুশে দেহত্যাগ করিয়াছিলেন,— সেই, শান্ত সমাহিত কান্তি শোণিতস্রোতে প্লাবিত হইয়। যাইতেছিল, তথাপি মহর্ষির মুখ বিশ্ব-প্রেমে সমুজ্জল, তিনি হত্যাকারীর মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করিতেছিলেন! আর যখন নবদ্বীপের পথে নিত্যানন্দ জগাই মাধাই কর্তৃক আহত ও রক্তধারায় প্লাবিত হইয়া আনন্দ উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলিতেছিলেন—

“মেরেছিস্ কলসীর কানা,
তা বলে কি প্রেম দেব না?”

এবং তাহাদিগকে ভাই বলিয়া প্রীতিভরে আলিঙ্গন করিবার জন্য ব্যাকুল হইয়াছিলেন, তখন এই পৃথিবীতে