পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০৬
সাহিত্য-চিন্তা

বিশ্ব-প্রেমের যে সৌন্দর্য্য দেব জ্যোতিতে উদ্ভাসিত হইয়া উঠিয়াছিল, তাহার তুলনা মিলে কি?

 সকল সৌন্দর্য্যের আধার সেই অনন্ত প্রেম-প্রস্রবণের একটি ধারা মর্ত্যলোক প্লাবিত করিতেছে। সাধনা দ্বারা ভক্তগণ তাহা লাভ করিয়া থাকেন, তাই, প্রেমিক ভক্তের হৃদয় এত সুন্দর! এই প্রেম-ধারার নামই পরানন্দ বা চিদানন্দ ঘন।

 কত তাপস তপস্বিনী নির্জ্জন গিরি-কন্দরে, পূতসলিলা তটিনী-পুলিনে সেই আনন্দ স্বরূপের ধ্যানে যুগযুগান্তর অতিবাহিত করিয়াছেন তাঁহারা সেই দেবদেবকে “রসো বৈ সঃ” রূপে ঘোষণা করিয়াছেন।

“যতো বাচেো নিবর্ত্তন্তে অপ্রাপ্য মনসা সহ।
আনন্দং ব্রহ্মণো বিদ্বান্ ন বিভেতি কুতশ্চ নেতি”
তৈত্তিরীয়োপনিষৎ।

 “মনের সহিত বাক্য যাঁহাকে না পাইয়া যাঁহা হইতে ফিরিয়া আইসে সেই ব্রহ্মের আনন্দ যিনি জানেন তিনি কোন বস্তু হইতে ভয় প্রাপ্ত হন না।”

 যিনি বিশ্ব সৌন্দর্য্যের প্রাণ,—সাধক যাঁহাকে “শিব সুন্দর” রূপে ভজনা করেন, বৈষ্ণব কবি যাঁহার হলাদিনী শক্তিতে মোহিত হইয়াছেন, তাঁহাতে প্রাণ